রাজশাহীতে স্বামীর বিরুদ্ধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছেন এক স্কুলশিক্ষক।
নগরীর বুলনপুর গোয়ালপাড়া এলাকায় বুধবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফাতেমা খাতুন নামের ওই নারী শহরের মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
ফাতেমার ছোট বোন নূরজাহান খাতুন নিউজবাংলাকে জানান, প্রায় ২০ বছর আগে ফাতেমার সঙ্গে প্রতিবেশী সাদিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। সে সময় সাদিকুল এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ফাতেমা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
বিয়ের পর থেকেই সাদিকুল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। বুধবার রাতে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করার জন্য গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় ফাতেমা ও তার দুই সন্তানের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে আগুন নেভায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান আফরোজা নাজনীন জানান, ফাতেমার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ২৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। পুড়ে গেছে মুখ, গলার সামনের অংশ, দুই হাত, কান ও বুক। শ্বাসনালি পোড়ারও আশঙ্কা আছে।
বেড সংকটের কারণে তাকে মেঝেতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেঝেতে রাখায় অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।
সাদিকুলের বাবা রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা জানার পর বউমাকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। তারা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছিল। তবে বিয়ের পর থেকেই পরিবারে অশান্তি। মেয়েটা ভালোই, ভদ্র। সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করে। আমার ছেলে কিছু করে না।
‘অনেক আগে থেকেই বউকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পেয়েছি। মাঝেমধ্যে শাসন করে ঠিক করার চেষ্টা করেছি। তবুও কোনো পরিবর্তন হয়নি। ও এবার যে কাজ করেছে, তার জন্য যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তসলিমা খাতুন জানান, এখনও কেউ মামলা করেনি। তবে পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে। ঘটনার পর থেকেই সাদিকুল পলাতক। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। পুলিশ তাকে ধরার চেষ্টা করছে।