পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামীর এর নেতা। গত মার্চের শেষে জেলা শহরে ভাঙচুর মামলার আসামি তিনি।
সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নে মনিরুল ইসলাম নামে সেই নেতা ভোটে লড়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পরিচয়ে। মার্কা ছিল আনারস। এতে ভোট পড়েছে নৌকার দেড় গুণ।
মনিরুল ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬১টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আব্দুস সালামের নৌকায় ভোট পড়েছে ২ হাজার ৪৭২টি।
বুধবার সদর ও আশুগঞ্জ উপজেলায় ভোট হয়েছে মোট ১৮টি ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নের বিজয়ীদের ১৩ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। তবে এদের মধ্যে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে জয় পেয়েছেন ৬ জন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন ৮ জন।
বাকি চারটিতে জয় পাওয়া দুই জন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা। তবে তারা ভোট করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। বাকি দুই জনের মধ্যে একজনের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় নেই। বাকি একজন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত। তবে দলটি ভোট বর্জন করায় তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।
এই বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের একজন মনিরুল ইসলাম। তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি। পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের সদস্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে তাণ্ডব চলে, সেসব ঘটনায় করা ১৪টি মামলার প্রতিটিতে আসামি হিসেবে নাম আছে মনিরুলের। গত বছরের ২২ জুন থেকে কারাগারে তিনি।
ইতিমধ্যে ১৩টি মামলায় জামিন হয়েছে মনিরুলের। বাকি মামলায় জামিন না হওয়ায় ভোট চাইতে জনগণের কাছে যেতে পারেননি তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম সম্পাদক মুফতি এনামুল হাসান জানান, মনিরুলের পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি ইসলামী ঐক্যজোট এবং ছাত্র খেলাফতের স্থানীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন।
এনামুল বলেন, ‘তিনি (মনিরুল) এলাকায় তুমুল জনপ্রিয়। সে জন্যই কারাগারে থেকেও নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন।’