লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে দুজন বাসের চাপায় ও একজন পিকআপ ভ্যানের চাপায় মারা গেছেন।
নিহতরা হলেন আরিফ হোসেন, আসলাম হাওলাদার ও তাহসীন।
রায়পুর, লক্ষ্মীপুর ও বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে নিউজবাংলাকে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, বুধবার দুপুরের দিকে মুদি দোকানি আরিফ হোসেন বকেয়া টাকা তুলে মোটরসাইকেলে তার দোকানে যাচ্ছিলেন।
বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের রাখালিয়া এলাকায় এলে রায়পুর থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
একই সময় লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের ভবানীগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ছয় বছর বয়সী তাহসীন মারা গেছে।
লক্ষ্মীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. জসিম উদ্দীন জানান, সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছেলেকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি শেষে সিএনজিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন মা ও ছেলে তাহসীন।
তারা ভবানীগঞ্জ বাজারের পাশে এসে সিএনজি থেকে নামার সময় লক্ষ্মীপুরগামী একটি পিকআপ ভ্যান তাহসীনকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, আশপাশের লোকজন পিকআপটিকে আটক করলেও চালক পালিয়ে যান।
নিহত তাহসীন স্থানীয় চরমনসা গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে। অন্য নিহত আরিফ হোসেন পৌর শহরের দেনায়েতপুর এলাকার মোহাম্মদ মুন্না হোসেনের ছেলে।
তাদের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জে বাসের চাপায় আসলাম হাওলাদার নামে এক পথচারীর নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন মিলন।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আসলাম হাওলাদার। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী মল্লিক এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আলাউদ্দিন মিলন আরও জানান, আসলামের বাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেই। তার মরদেহ বাকেরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বাসটি আটক করা হলেও এর চালক পালিয়ে গেছেন।