বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্বাচনে মৃত্যুর দায় প্রার্থীদের: ইসি

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৪১

পঞ্চম ধাপে ভোট চলাকালে মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও চাঁদপুরে সহিংসতায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরপরও নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর বলে দাবি করেন ইসি সচিব।

চলমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটে সহিংসতা ও মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নয় মন্তব্য করে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, এ দায় প্রার্থীদের।

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ ধাপে ভোট চলাকালে মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া ও চাঁদপুরে সহিংসতায় ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরপরও নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও আনন্দমুখর বলে দাবি করেন ইসি সচিব।

আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, ‘আজ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭০৭টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এখন ভোটগণনার কাজ চলছে। কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার ঘটনা ছাড়া পুরো দেশে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে।

‘এই পর্যন্ত আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি, আমাদের প্রত্যাশা টোটাল ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। গত ২৮ তারিখে যে নির্বাচন হয়েছে, সেখানেও আমাদের প্রায় ৭৪ শতাংশ ভোট পড়েছে।’

নির্বাচনের দিন সহিংসতায় প্রাণহানির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে খুবই দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। যেকোনো মৃত্যুই আমাদের জন্য খুবই বেদনার এবং কাঙ্ক্ষিত নয়। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের বাচামারা ইউনিয়নে আমিনা খাতুন যখন ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পড়ে তিনি নিহত হন।

‘চট্টগ্রামের আনোয়ারায়ও ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অঙ্কুর নামে একজন দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় নিহত হন। তিনি ভোট কেন্দ্র থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়ির কাছে ছিলেন। এ ছাড়া বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে জাকির হোসেন নামে একজন, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার জুম্বাবাড়ী ইউনিয়নের আবু তাহের নামে একজন এবং চাঁদপুরের কচুয়া ও হাইমচরে দুজন নিহত হয়েছেন। নিঃসন্দেহে এটি দুঃখজনক। এ জন্য আমরা প্রার্থীদের বলব, যিনি জয়ী হবেন এবং যিনি পরাজিত হবেন তারা যেন খুবই আবেগী না হন, এটি আমাদের প্রত্যাশা।'

‘আগের ধাপের নির্বাচনে একজনও মারা যায়নি। আপনারা বলেছিলেন, সেটা ভালো নির্বাচন। আজ ৬ জন মারা গেল, এটাকে কেমন নির্বাচন বলবেন?’

উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘আজকে নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ৬ জন মারা গেছে। এটা অবশ্যই দুঃখজনক, তবে ওই ৬ কেন্দ্র ছাড়া অন্য জায়গায় নির্বাচনে তেমন সমস্যা হয়নি। তাই এখন পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, সেটাকে আমরা বলব ভালো নির্বাচন। সামনে নির্বাচন আরও ভালো হবে।’

‘ভোটাররা চায় ভোট দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময়ও আপনারা তাদের নিরাপত্তা দিবেন। সেই নিরাপত্তা কতটুকু দিতে পেরেছেন?’

এক সাংবাদিকের করা উল্লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সচিব বলেন, ‘আমরা মনে করি আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। যারা মারা গেছেন, তারা বেশিরভাগই ভোট দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির পথে মারা গেছেন। মৃত্যু নিঃসন্দেহে দুঃখজনক, তবে আসল কথা হলো ইউনিয়ন পরিষদ এত বড় ইলেকশন যে, এখানে ঘরে ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

‘একই পরিবারে স্বামী-স্ত্রী-পুত্র প্রার্থী হন। যে সংঘর্ষ হয় প্রার্থীদের মধ্যে, তা তো ভোট দেয়ার জন্যই হয়। আমরা প্রায় ৭৫ শতাংশ ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনতে পেরেছি।’

ভোটকেন্দ্রের বাইরে পথে যারা মারা গেলেন, তাদের দায় কে নেবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘এই দায় নিবেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এখানে নির্বাচন কমিশনের দায় নেই। এই দায় যাবে প্রার্থীদের ওপর। তারা কেন নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষ-সংঘাতে জড়ায়?’

সারা দেশে ৭০৮টি ইউনিয়নে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে ৭০৭টিতে। এর মধ্যে ৪০টিতে ভোট হয়েছে ইভিএমে; বাকিগুলোতে ব্যালটে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, তিনটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩৬ হাজার ৪৫৭ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ হাজার ২৭৪, সংরক্ষিত আসনে ৭ হাজার ৯৫০ ও সাধারণ সদস্য পদে ছিলেন ২৫ হাজার ২৩৩ জন।

৭০৭ ইউপির মধ্যে বিভিন্ন পদে আগেই ১৯৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদের ৪৮, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ৩৩ ‌ও সাধারণ সদস্য পদের ১১২ জন।

ইউপি নির্বাচনে গত চার ধাপে দেশের বেশ কিছু এলাকায় সহিংসতা হয়েছে। ভোটের আগে, ভোটের দিন ও পরে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত লোকের প্রাণহানির তথ্য সংবাদমাধ্যমে এসেছে। পঞ্চম ধাপেও অনেক এলাকায় ভোটের আগেই গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে।

এ বিভাগের আরো খবর