ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রথা তুলে না দিলে সন্ত্রাস-সংঘাত আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার।
নিজ কার্যালয়ে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘মানবাধিকারের আলোচনা এখন তুঙ্গে। মানবাধিকার উৎসারিত হয় ভোটের অধিকার থেকে। আমাদের সংবিধানের স্পিরিটই এটি। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষা করা এখনও বহু দূরে।
‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একমাত্র নির্ভেজাল গণতন্ত্রই মানবাধিকারের গ্যারান্টি দিতে পারে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন সুষ্ঠু নির্বাচনের গোড়া কাটার নামান্তর। কোনো কোনো সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। তাদের কেবল চিঠি দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ সেই চিঠি উপেক্ষা করেছেন। নির্বাচন প্রক্রিয়া সংস্কার না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। অন্য যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ছাড়া অন্য কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।’
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সন্ত্রাস ও সংঘাত যেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে। এখন ভোটযুদ্ধে যুদ্ধ আছে, ভোট নেই। কিন্তু নির্বাচন ও সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে সন্ত্রাসের কারণ জেনে তা থেকে মুক্তি পাওয়া দরকার হয়ে পড়েছে। তবে ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রথা উঠিয়ে না দিলে সন্ত্রাস ও সংঘর্ষ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’নির্বাচনের মৌলিক শর্ত ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা দেয়া জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে ও পরে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা দেয়া নির্বাচনের মৌলিক শর্ত। আমরা এ কাজে ব্যর্থ হয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর দায় এড়াতে পারে না।
‘পত্রিকামতে, দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে। যেকোনো মূল্যে ব্যালট পেপারের সুরক্ষা দিয়ে এই অবস্থার অবসান করা দরকার।’