বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ শনাক্ত

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৩

২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৮৯২ জনের দেহে, যা গত ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই দিন ১ হাজার ১৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার বাড়ছেই। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৮৯২ জনের দেহে, যা সেপ্টেম্বরের পর সর্বোচ্চ। বেড়েছে শনাক্ত হারও।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বুধবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত এক দিনে মৃত্যু হয়েছে আর তিনজনের।

দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭ জনের। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৯০ জনের।

এক দিনে এর চেয়ে বেশি শনাক্তের খবর আসে ২৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন ১ হাজার ১৭৮ জনের দেহে করোনা শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে শনাক্ত হার। এই সময়ে ৮৫২টি ল্যাবে ২১ হাজার ২৯১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২০। এর চেয়ে বেশি শনাক্তের হার ছিল গত ২৮ সেপ্টেম্বর। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৯।

মঙ্গলবার ৭৭৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য এসেছিল, মৃত্যু হয়েছিল ছয়জনের। এক দিনে করোনা রোগী বেড়েছে ১১৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনই নারী, সবাই ষাটোর্ধ্ব। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের দুজন ও রাজশাহী বিভাগের একজন।

করোনা থেকে এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ২১২ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫০ হাজার ১৬৮ জন। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে হিসাবে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে।

এর পরও কিছুদিন ধরে শনাক্ত সংখ্যা ও হার বাড়তে থাকায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার।

এসব বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে মাস্ক ছাড়া যানবাহনে চলাচল না করতে দেয়া। যারা চলাচল করবেন তাদের জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে। পরিবহনের মধ্যে বাস থাকবে, ট্রেন থাকবে এবং লঞ্চ থাকবে।

বাস ও অন্যান্য যানবাহনে অর্ধেক নেয়ার প্রস্তাব করেছে কেবিনেট। এ ছাড়া হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটের ব্যাপারেও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রেস্টুরেন্ট-হোটেল সেখানেও মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারেরও ফাইন হবে, যে যাবে তারও ফাইন হবে। দোকান খোলা রাখার সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে, ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত করা হয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর