ঢাকা শহরেই নয়, বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামসহ অন্যান্য শহরেও মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তিনি।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেট্রোরেল কেন শুধু ঢাকায় হবে। চিটাগাংয়েও মেট্রোরেল হওয়া উচিত। চিটাগাং এয়ারপোর্ট থেকে চিটাগাং রেলস্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল হওয়া উচিত। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও যেন এটা প্রয়োগ করা হয়। যেখানে বড় শহর আছে এবং শহরের বাইরে বিমানবন্দর রয়েছে, সেখানে পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেল চালু করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
একনেক সভায় এই বছর শেষ হবে এমন তিনটি মেগা প্রজেক্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তার মধ্যে একটি হচ্ছে মেট্রোরেল, একটি পদ্মা সেতু আরেকটি হচ্ছে চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু টানেল (কর্ণফুলী টানেল)।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী জুনে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে। এরপর অক্টোবরে চালু হবে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে চালু হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল।’
শামসুল আলম জানান, তিনটি প্রকল্প চালু হলে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। শুধু পদ্মা সেতু চালু হলেই জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১.২ শতাংশ।
মেট্রোরেল এবং কর্ণফুলী টানেল নিয়ে আলাদা কোনো প্রাক্কলন করা না হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনটি মেগা প্রজেক্ট একসঙ্গে চালু হলে দেশে জিটিভিতে প্রায় ২ শতাংশ বাড়তি প্রবৃদ্ধি যোগ হবে।