ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে দুই গারো কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলার পাঁচ দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, আসামিরা কেউ বাড়িতে না থাকায় তারা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
হালুয়াঘাট থানায় গত ৩০ ডিসেম্বর ওই দুই কিশোরীর একজনের বাবা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নে গত ২৮ ডিসেম্বর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ওই দুই প্রতিবেশী কিশোরী। রাতে ফেরার পথে কয়েকজন তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর তাদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারেন।
এরপর একজনের বাবা ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আসামিরা হলেন উপজেলার কচুয়াকুড়া গ্রামের সোলায়মান হোসেন রিয়াদ, মো. শরীফ, এজাহার হোসেন, কাটাবাড়ি গ্রামের রমজান আলী, মো. কাউছার, মো. আছাদুল, শরিফুল ইসলাম, মো. মিজান, মো. রুকন ও মো. মামুন।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান খান বলেন, ‘আসামিদের বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’
এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে গাজীরভিটা ইউনিয়নে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন গারো সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনে গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি জেমস রেমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা হলেও পুলিশ এখনও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ জন্য গারো সম্প্রদায়ের মানুষ হতাশ। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।’