বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাজর চাষে লাভবান মেহেরপুরের চাষিরা

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:০৮

মেহেরপুর কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ‍্য) একে এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘গাজর চাষে জেলার কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। কারণ গাজর চাষে কম খরচে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব।’

আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মেহেরপুরে বেড়েছে গাজরের চাষ। অল্প সময়ে ফলন বেশি হওয়ায় অধিক লাভবান হচ্ছেন জেলার চাষিরা।

এছাড়া, অন্য ফসল চাষের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় জেলায় গাজর চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় গাজর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ২৪ হেক্টরে। উৎপাদন ভালো হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে গাজর চাষ। আগামীতে চাষ আরও বাড়বে বলে জানায় সূত্র।

গাংনী উপজেলার বামন্দী গ্রামের গাজর চাষি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে এবার প্রতি বিঘায় ৯০ মণ পযর্ন্ত গাজর উৎপাদন সম্ভব।

‘প্রতি মণ গাজর সাড়ে সাতশ টেকা (টাকা) দরে বিক্রি করছি। স্থানীয় বাজারেও ব‍্যাপক চাহিদা থাকাই ক্ষেত থেকেই সব গাজর বিক্রি হইছে।’

কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় গাজর চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। ছবি: নিউজবাংলা

নিশিপুর গ্রামের গাজর চাষি ইন্তাজুল জানান, দশ বছর ধরে গাজর চাষ করছেন তিনি। গাজর এমন একটি ফসল যার চাহিদা সব সময়ই থাকে। এ কারণে বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না। আবার দাম ও ভালো পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘এবার আমার এক বিঘা জমিতে প্রায় ৯০ মণ গাজর হয়েছে। প্রতি মণ গাজর প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। তবে শুরুর দিকে ৬০০ টাকা মণও বিক্রি করেছি। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছিল নয় হাজার টাকার মত।’

মেহেরপুর কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ‍্য) একে এম কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন,‘গাজর চাষে জেলার কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। কারণ গাজর চাষে কম খরচে অধিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব।

‘খুব ভালোভাবে এক বিঘা জমিতে গাজর চাষ করতে পনের হাজার টাকার মত খরচ হয়ে থাকে। আর বিঘা প্রতি উৎপাদন হয় ৯০ মণের মত গাজর, যার বাজার মূল‍্য লক্ষাধিক টাকা। এসব কারণে কৃষকদের কাছে গাজর চাষ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর