বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কনটেইনার ধারণক্ষমতা বাড়ল চট্টগ্রাম বন্দরের

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:১২

বন্দর সূত্র জানায়, যথাসময়ে পণ্য খালাস না করা, পরিবহন ধর্মঘট ও বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট বেড়ে যায়। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তবে নতুন ইয়ার্ডে সে সমস্যা অনেকটা দূর হবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

মূল জেটি, সিসিটি ও এনসিটি মিলে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার ধারণক্ষমতা ছিল ৪৯ হাজার টিইইউস। বন্দরের ফ্রিপোর্ট মোড় পুরাতন লেবার কলোনির জায়গায় ‘নিউমুরিং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড’ নির্মাণের ফলে ধারণক্ষমতা বেড়ে ৫৩ হাজার টিইইউএসে পৌঁছেছে।

৩৪ একর জমিতে প্রায় ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ইয়ার্ডের আয়তন ৯০ হাজার ৫০০ বর্গফুট। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী রোববার এ জেটিসহ ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

বন্দর সূত্র জানায়, যথাসময়ে পণ্য খালাস না করা, পরিবহন ধর্মঘট ও বৈরী আবহাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট বেড়ে যায়। ফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। তবে নতুন ইয়ার্ডে সে সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

এই ইয়ার্ডে রাখা যাবে আরও চার হাজার টিইইউস কনটেইনার। ফলে ভবিষ্যতে কনটেইনার জট তৈরির সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করছেন বন্দর কর্মকর্তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। কিন্তু সে হারে বাড়েনি বন্দরের সক্ষমতা। বৈশ্বিক বাণিজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রমেই সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে নজর দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে করোনাকালের বছরেও পণ্য হ্যান্ডেলিংয়ে ১৩৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে চট্টগ্রাম বন্দর।

‘একই সঙ্গে বন্দরের ধারণক্ষমতাও সম্প্রসারিত হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে নিউমুরিং ওভারফ্লো কনটেইনার ইয়ার্ড। প্রায় ১৪ বছর পর নতুন একটি সার্ভিস জেটি যুক্ত হলো চট্টগ্রাম বন্দরে।’

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘সার্ভিস জেটি নির্মাণের ফলে বন্দরের মালিকানাধীন প্রায় ৩৫টি ভেসেল পরিচালনা করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্পকে কেন্দ্র করে তিন তলা একটি অফিস ভবন, একটি ওয়্যারহাউস, একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পানির রিজার্ভার, উঁচু রিটেইনিং ওয়াল, রিভার ব্যাংক ও শোর প্রোটেকশন, ড্রেনেজ সিস্টেম, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও সিগন্যাল টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, ‘দেশের ৯০ ভাগ আমদানি-রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই নির্বিঘ্নে আমদানি-রপ্তানি করতে অফডক, শিপিং এজেন্ট, এমএলও, ফিডার সার্ভিস, সড়কপথে কনটেইনার পরিবহনে করোনাকালে আগে থেকেই সম্ভাব্য ব্যবস্থা নিয়েছি। আমাদের বন্দরে জাহাজের ওয়েটিং টাইম জিরো। ফরেন কারেন্সি সাশ্রয় হচ্ছে। জাহাজ ভাড়া, ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম কমে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক বাণিজ্যের সাথে তাল মেলাতে চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। এ কারণে চট্টগ্রাম বন্দর পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের মার্চেই পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু করা সম্ভব হতে পারে। সংসদ নির্বাচনের আগে বে-টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু করা হতে পারে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।’

৪৫ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে এই বন্দরে মোট কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউস। এর আগে একক কোন বছরে এতো বিপুল সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড নেই চট্টগ্রাম বন্দরে।

২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউস। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭১ টিইইউস বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। বছর শেষে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। শুধু কনটেইনারেই নয়, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণও ২০২১ সালেই সর্বোচ্চ। এ বছর কার্গো হ্যান্ডলিং হয় ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫৮ টন।

এ বিভাগের আরো খবর