জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, ছোট পরিসরে হলেও সব বিভাগে বঙ্গবন্ধু কর্নার থাকা প্রয়োজন। সেখানে এসে শিক্ষার্থীরা অল্প সময়ের জন্য বই পড়লেও অনেক কিছু শিখতে পারবে। আর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জানার এই আগ্রহ থেকেই তারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে। বঙ্গবন্ধুর যেন কোনো অসম্মান না হয়, সেদিকেও সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যবৃন্দ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ), পরিচালক (অর্থ ও হিসাব), প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও জবি প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১৬ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে সমিতির কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ২৫ নভেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকদের নিজস্ব অর্থায়নে বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের প্রথম ব্যাচের অ্যালামনাই আর্টিস্ট ফাইয়াজ হোসেন বিনা পারিশ্রমিকে ৭টি চিত্রকর্ম তৈরি করেন। বঙ্গবন্ধু কর্নারে বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্ট ৭০টি বই সংযোজিত হয়েছে। আরো নতুন বই সংযোজনের প্রক্রিয়া চলছে।