বরিশাল সিটির মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন করপোরেশনের সাত কাউন্সিলর। নোটিশে প্রাপ্য বেতন থেকে কম দেয়ার কারণ জানতে চেয়েছেন তারা।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সাত কাউন্সিলর হলেন, ২৬ নং ওয়ার্ডের হুমায়ন কবির, ৪ নং ওয়ার্ডের তৌহিদুল ইসলাম, ২৯ নং ওয়ার্ডের ফরিদ আহমেদ, ২০ নং ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান, ১ নং ওয়ার্ডের আমির হোসেন বিশ্বাস, ২৪ নং ওয়ার্ডের শরীফ মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও ২৩ নং ওয়ার্ডের এনামুল হক বাহার।
রোববার দুপুরে আইনজীবী আজাদ রহমানের মাধ্যমে ওই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন কাউন্সিলররা।
নোটিশে সাত কাউন্সিলরের পক্ষে আইনজীবি আজাদ রহমান উল্লেখ করেন, সিটি করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার টাকা সম্মানী পাওয়ার কথা থাকলেও নোটিশদাতারা ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা করে পাচ্ছেন। কিন্তু অন্য কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার করেই দেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও নোটিশে উল্লেখ আছে, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়াই হোল্ডিং ট্যাক্স ১ হাজার শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ফলে নোটিশদাতারা সিটির বাসিন্দাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও উল্লেখ করা হয়, স্থায়ী বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বেআইনীভাবে ওএসডি করে রেখে কর্তৃপক্ষ মাস্টার রোলে অদক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করছেন। মাস্টার রোলের কর্মচাচারীদের কোনো আইনী দায়বদ্ধতা না থাকায় তাদের দ্বারা জনগনের অপূরনীয় ক্ষতি হতে পারে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী বরিশাল সিটি করপোরেশন পরিচালনার নিয়ম থাকলেও তা নোটিশ গ্রহিতারা খামখেয়ালীভাবে চালাচ্ছেন। এতে করপোরেশনে স্থবিরতা ও গণ অসন্তোষ বাড়ছে।
হাট বাজার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় না দিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে ইজারা দেয়া হয়ে বেআইনীভাবে। ইজারাদারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। সর্বত্রই এসবের জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে নোটিশদাতাদের।
আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, নোটিশগ্রহিতাদের নোটিশ গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। জবাব না পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।