করোনার কারণে এ বছরও হচ্ছে না বই উৎসব। নতুন বছরের প্রথম দিনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শনিবার থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু হয়েছে।
প্রতি বছর ১ জানুয়ারি দেশের প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবের আয়োজন করে বই তুলে দেয়া হতো শিক্ষার্থীদের হাতে। যার নাম দেয়া হয় বই উৎসব। তবে করোনার কারণে গত বছরের মতো এবারও উৎসব হচ্ছে না।
সারা দেশে এ বছর ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি বই ৪ কোটি ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল ও পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় লেখা পাঠ্যবই রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে আওয়ামী লীগ সরকার বিনা মূল্যে বই বিতরণের কর্মসূচি হাতে নেয়। তা এবার ৪০০ কোটির ঘর ছাড়াতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি দাঁড়াচ্ছে ৪০০ কোটি ৫৪ লাখ ৬৭ হাজার ৯১১টি।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বই বিতরণের এই কর্মকাণ্ড ১২ দিনের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
নতুন বছর, নতুন ক্লাসে, নতুন বই হাতে দুই শিক্ষার্থী। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
নির্দেশনা অনুযায়ী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১ থেকে ৩ জানুয়ারি, সপ্তম শ্রেণিতে ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি, অষ্টম শ্রেণিতে ৮ থেকে ১০ জানুয়ারি এবং নবম শ্রেণিতে ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে।
শনিবার বই হাতে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে রাজধানীর কামরুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের। নতুন বছরের প্রথম দিনে নতুন বই হাতে পেয়ে তারা খুব খুশি বলেও জানায়।
গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে জানা যায়, প্রাথমিকের শতভাগ বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছায়।
এনসিটিবির বিতরণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সাইদুর রহমান বলেন, জানুয়ারিতে বিদ্যালয় খোলা থাকবে। পাঠদান শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এর ২০ দিন আগেই মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছে যাবে।