বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাউশির ডিজিকে দুদকে তলব

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:২৬

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘মাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দুদকে আসে। তার মধ্যে অনেক অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে ৪০টি চিঠি পাঠানো হয়। অভিযোগগুলো কী অবস্থায় আছে তা জানতেই মাউশি ডিজিকে ডাকা হয়েছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক (ডিজি) প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে ২৪০টি চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু কার্যকর কোনও ফল আসেনি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাউশি ডিজিকে বুধবার তলব করেছে দুদক।

দুদক সূত্র জানায়, মাউশি মহাপরিচালককে দেয়া ২৪০টি চিঠিতে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদককে অবহিত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত একটি চিঠির বিষয়েও দুদককে অবহিত করা হয়নি।

ড. গোলাম ফারুককে বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছে মাউশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসে। তার মধ্যে অনেক অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত নয়। সেসব অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মাউশি মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। দুদকের চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগগুলো বর্তমানে কী অবস্থায় আছে সেসব জানতেই মাউশি ডিজিকে ডাকা হয়েছে।’

দুদক সচিবের নেতৃত্বে কমিশনের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দলের সদস্যরা মাউশি মহাপরিচালকের কাছে ওই ২৪০টি চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইবে। এই দলে দুদকের দুর্নীতি প্রতিরোধ শাখার মহাপরিচালক একেএম সোহেলসহ সংশ্লিষ্ট পদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের বিধি-বিধান লঙ্ঘন এবং নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে। এর মধ্যে যেসব অভিযোগ দুদকের তফসিলভুক্ত, সেগুলো আমলে নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে।

আর যেগুলো দুদকের তফসিলভুক্ত নয়, সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে মাউশি কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। এভাবেই দুদক থেকে মাউশিতে ২৪০টি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, ২৪০টি চিঠিতে উল্লেখ করা অভিযোগ মাউশি তদন্ত করেছে কিনা, তদন্ত করা হলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা, আর তদন্ত না করা হলে ওইসব অভিযোগ কী অবস্থায় আছে- এসবই দুদকের অজানা। সেগুলো জানতে চাওয়া হবে মহাপরিচালকের কাছে।

এ বিভাগের আরো খবর