নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীক সংগ্রহ করেছেন।
তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন হাতি প্রতীক।
নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার মঙ্গলবার দুপুরে তাদের প্রতীক বরাদ্দ করেন। এ সময় মেয়র পদে আরও পাঁচ প্রার্থী তাদের প্রতীক বুঝে নিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, প্রতীক বরাদ্দের সময় প্রার্থীদের আচরণবিধি মানতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন প্রার্থীরা।
প্রতিটি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তৎপরতা থাকবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে বিদ্যমান আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘গত ৫ বছরে সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে নগরবাসীর কোনো অভিযোগ ছিল না। একজন প্রার্থী নির্বাচনি সুবিধা নিতে আমার বিরুদ্ধে এখন নানা অভিযোগ ছুড়ে দিচ্ছেন।’
প্রতীক সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ছবি: নিউজবাংলা
তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ করে আইভী বলেন, ‘আপনার বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে যে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেন, সেটিও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের করা। যে ২৭টি ওয়ার্ডে আপনি ছুটছেন সেগুলোও করেছে সিটি করপোরেশন।
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে কোনো সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করিনি। নির্বাচনি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। বরং তৈমূর আলম ওয়ার্ডগুলোর মসজিদে গিয়ে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন। আমি আজ থেকে প্রচারণা শুরু করব।’
সাবেক এই মেয়র আরও বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের সেবা করতে। মানুষের জন্য কাজ করেছি। আশা করব ভোটাররাও আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন এবং আমাকে পুনরায় নির্বাচন করবেন।’
হাতি প্রতীক বরাদ্দ পাওয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগের নির্বাচনে দলের প্রার্থী ছিলাম তাই দলের নির্দেশে সেই সময় আমাকে বসে যেতে হয়েছে। তবে এবার আর বসছি না।
প্রতীক সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। ছবি: নিউজবাংলা
‘২০১৬ সালের নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিতে চাইলেও আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। এবার জনগণের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জনগণ আমার পাশে আছে এবং তারাই আমাকে নির্বাচিত করবে।’
তৈমূর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থী কারও কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়েই সরকারদলীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে জনসভা করে ভোট চেয়েছেন। এখানে প্রশাসন বোবা ও অন্ধের ভূমিকা পালন করেছে।’
সাংসদ শামীম ওসমান প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, ‘তারা একই দলের লোক। নৌকার পক্ষে সে থাকতেই পারে। কিন্তু জনগণ আমার পাশে আছে।’
তিনি বলেন, ‘হাতি নৌকায় উঠলে নৌকার কি তলি থাকে? হাতি যখন নৌকার ওপর উঠে গেছে আপনারা দেখবেন আল্লাহ কী করেন।’