বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার ২০১ ইউনিয়নে নৌকা ডুবল ‘বিদ্রোহে’

  •    
  • ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:১৮

রোববার ভোট শেষে ৭৭৫টি ইউনিয়নের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৮৭টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০১টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে দলের প্রতীক নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করা ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। এর আগে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ২৬৭ এলাকায় নৌকাকে হারিয়ে দেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

তৃণমূল নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার বিষয়টি আবার দেখা গেল। রোববারের চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে ২০১টি ইউনিয়নে জিতেছেন দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এর বিপরীতে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন ৩৮৮টি ইউনিয়নে।

গত ১০ নভেম্বর ৮৪০টি ইউনিয়নে ভোটের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে সময় ঠিক হয় ভোট হবে ২৩ ডিসেম্বর। পরে পেছানো হয় তিন দিন।

এর মধ্যে বেশ কিছু ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। রোববারের ভোটে কয়েকটি ইউনিয়নে ফলাফল স্থগিত থাকে। একটিতে দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ভোট সমান হয়।

বাকি ৭৮১টি ইউনিয়নে ভোটের ফল প্রকাশ করা হয়। এই ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৩৮৭টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০১টি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে দলের প্রতীক নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করা ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত দুই জেলা মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে মোট ২৮টি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। সেখানে নির্বাচিত সবাই ক্ষমতাসীন দলের অনুসারী। তবে তারা কেউ নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করেননি। সেখানে আওয়ামী লীগ কাউকে প্রতীক না দিয়ে উন্মুক্ত রাখে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির জ্ঞাতিগোষ্ঠী, আঞ্চলিকতা নানা কিছু নির্ভর করে। সে কারণে ফলাফল বিপর্যয়।

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের ২৬৭ জন নেতা নৌকার পরাজয়ের কারণ হয়েছিলেন।

প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও কয়েক শ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারিয়েছেন দলের নেতারা।

কোন বিভাগে বেশি বিদ্রোহ

বিভাগওয়ারি ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিদ্রোহী নেতারা নৌকাকে সবচেয়ে বেশি বিপাকে ফেলেছেন সিলেট বিভাগে। এই বিভাগের চার জেলায় নৌকা যত এলাকায় জিতেছে, প্রায় সমানসংখ্যক এলাকায় জয় পেয়েছেন বিদ্রোহী নেতারা।

এই বিভাগে নৌকা জয় পেয়েছে ৩২ ইউনিয়নে, অন্যদিকে বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন ২৬টিতে।

দলের মধ্যে এক বা একাধিক নেতার ভোট ভাগাভাগির সুযোগ নিয়ে কোথাও কোথাও স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিএনপির, কোথাও জামায়াতের নেতারা, কোথাওবা অন্য প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

সিলেটের পর বিদ্রোহী নেতারা নৌকা বেশি ডুবিয়েছেন আওয়ামী লীগের শক্তিশালী অবস্থানের ঢাকা বিভাগে। এখানে নৌকা জিতেছে ৬৫টি ইউনিয়নে, আর বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৩৯টি এলাকায়।

এমনকি দলের ঘাঁটি ফরিদপুরের একটি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টিতেই হেরে গেছেন নৌকার প্রার্থীরা। সেখানে বিএনপির তিনজন নেতা চেয়ারম্যান হয়েছেন, যেখানে নৌকার চেয়ারম্যান থাকবেন শুধু একজন।

রাজশাহী বিভাগে নৌকা জিতেছে ৫৯ ইউনিয়নে, বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন ৩২টিতে। খুলনা বিভাগে নৌকা জিতেছে ৩৭ ইউনিয়নে, বিদ্রোহীরা ২৬টিতে। বরিশাল বিভাগে নৌকা জিতেছে ১০টিতে; বিদ্রোহীরা ৬টিতে।

এই তুলনায় রংপুর, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের পরিস্থিতি তাও কিছুটা ভালো। সর্ব উত্তরের বিভাগটিতে নৌকা জয় পেয়েছে ৬১ ইউনিয়নে, বিদ্রোহীরা ২৬টিতে, মধ্যাঞ্চলের বিভাগটিতে নৌকা জিতেছে ৩২টিতে, বিদ্রোহীরা ১৫টিতে আর সর্ব দক্ষিণের বিভাগটিতে নৌকা জিতেছে ৯১টিতে, বিদ্রোহীরা ৩১টিতে।

কী বলছেন দলের নেতারা

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দলে মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে বিদ্রোহ দেখা যায়। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বহিষ্কারের পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে আর কখনও মনোনয়ন না দেয়ার সতর্কতার পরও বিদ্রোহী নেতারা সেসব গা করেননি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য আবদুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির জ্ঞাতিগোষ্ঠী, আঞ্চলিকতা নানা কিছু নির্ভর করে। সে কারণে ফলাফল বিপর্যয়।’

দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘তৃণমূল, অর্থাৎ ইউনিয়ন, থানা ও জেলা থেকে যে তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হয়, আমার মনে হয় সেখানে কোনো সমস্যা আছে। আমার মনে হয়, তারা ঠিকমতো নাম পাঠাচ্ছেন না।’

তৃণমূলে দলের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, সেটি জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই প্রভাব পড়বে না। কারণ সেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া কেউ দলের বিরুদ্ধে যায় না।’

একই প্রশ্নে দলের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। যারা বিদ্রোহী হয়েছেন তারা তো জানেন, এটা ক্ষমতা পরিবর্তনের নির্বাচন নয়। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলে আমরা মনে করি।’

নৌকার চেয়ে বিদ্রোহীরাই বেশি

সারা দেশ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ইউনিয়নে জিতলেও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিভাগের ফরিদপুরের পরিস্থিতি ভিন্ন।

এই জেলায় বোয়ালমারীতে ১০টি এবং আলফাডাঙ্গায় তিনটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তিনটিতে। তার মধ্যে দুটি আবার আলফাডাঙ্গা উপজেলায়।

বোয়ালমারীতে শুধু একটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। সেখানে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তিনটিতে। ইসলামী আন্দোলনও জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের সমান একটিতে।

এই জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন ছয়টি ইউনিয়নে।

তৃণমূল, অর্থাৎ ইউনিয়ন, থানা ও জেলা থেকে যে তথ্য-উপাত্ত পাঠানো হয়, আমার মনে হয় সেখানে কোনো সমস্যা আছে। আমার মনে হয়, তারা ঠিকমতো নাম পাঠাচ্ছেন না।

পাবনায় নৌকার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন চারটি ইউনিয়নে। জেলায় দলের বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন ১১টিতে। বিএনপি ও জামায়াতের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নৌকার সমান চারটিতে জয় পেয়েছেন।

ঝিনাইদহেও প্রায় একই পরিস্থিতি। সেখানে নৌকা জয় পেয়েছে পাঁচটি ইউনিয়নে। বিপরীতে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ১০টিতে।

নীলফামারীতে নৌকা নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন তিনটিতে, আর নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহীরা জিতেছেন দ্বিগুণসংখ্যক ছয়টিতে।

অতটা খারাপ না হলেও সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জেও নৌকার চেয়ে বেশি জিতেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীরা। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জিতেছেন সাতটি ইউনিয়নে। দলের বিদ্রোহীরা সেখানে জিতেছেন ৯টিতে। একই অবস্থা মৌলভীবাজারেও। সেখানেও নৌকা জিতেছে সাতটিতে, বিদ্রোহীরা জিতেছেন ৯টিতে।

টাঙ্গাইলেও বেশি জিতেছেন দলের বিদ্রোহীরা। সেখানে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেয়ে জিতেছেন ৯ জন আর মনোনয়ন না পেয়ে প্রার্থী হয়ে জিতেছেন ১০ জন।

ভোলাতেও নৌকা নিয়ে জিততে পেরেছেন তিনজন, আর নৌকা না পেয়ে প্রার্থী হয়ে বাজিমাত করেছেন চারজন।

শেরপুরে নৌকা নিয়ে জিতেছেন দুজন, বিদ্রোহীরা জিতেছেন তিনটি এলাকায়।

গাইবান্ধা জেলায় নৌকা নিয়ে জিতেছেন চারজন, আর দলের প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে জিতেছেন পাঁচজন আওয়ামী লীগ নেতা।

লক্ষ্মীপুরে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ছয়জন, বিদ্রোহীরা জিতেছেন সাতটিতে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে চারটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ একটিতেও জয় পায়নি। বিদ্রোহীরাও অবশ্য জিততে পারেনি কোথাও। বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তিনটিতে আর জামায়াতের একজন একটিতে জয় পেয়েছেন।

আওয়ামী লীগ-বিদ্রোহী সমানে সমান

সাতক্ষীরায় নৌকার প্রার্থী ও বিজয়ী বিদ্রোহী নেতার সংখ্যা সমানসংখ্যক, তিনজন করে।

গাজীপুরে ভোট হয়েছে দুটি ইউনিয়নে। এর মধ্যে একটিতে নৌকার প্রার্থী এবং একটিতে দলের বিদ্রোহী নেতা জয় পেয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলায় নৌকা নিয়ে জিতেছেন ১০ জন প্রার্থী। বিপরীতে নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে লড়াই করে জিতেছেন আটজন।

খুলনা বিভাগে যশোরে নৌকা নিয়ে জিতেছেন চারজন নেতা। বিপরীতে বিদ্রোহী নেতা জিতেছেন তিনটি এলাকায়। পাশের জেলা নড়াইলে নৌকা নিয়ে জিতেছেন সাতজন, আর বিদ্রোহীরা জিতেছেন পাঁচটিতে।

রাজশাহী বিভাগের বগুড়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন তিনটি ইউনিয়নে। দলের বিদ্রোহীরা জিতেছেন দুটিতে।

রংপুর বিভাগে কুড়িগ্রামে নৌকা নিয়ে জিতেছেন সাতটি ইউনিয়নে। বিপরীতে বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন ছয়টি এলাকায়।

চট্টগ্রাম বিভাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জিতেছেন পাঁচটি ইউনিয়নে। নৌকা না পেয়ে বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন চার এলাকায়।

একই বিভাগের কক্সবাজারে নৌকার প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন পাঁচ ইউনিয়নে। আর বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন তিনটিতে।

অন্যান্য জেলায় কী চিত্র

বাকি জেলার মধ্যে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়ে আওয়ামী লীগ সাতটিতে, দলের বিদ্রোহী দুটিতে, ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ ১৪টিতে, দলের বিদ্রোহী একটিতে, দিনাজপুরে আওয়ামী লীগ ১০টিতে, দলের বিদ্রোহী একটিতে, রংপুরে আওয়ামী লীগ সাতটিতে ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা জিতেছেন দুটিতে।

রাজশাহী বিভাগে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ১০টিতে, বিদ্রোহীরা চারটিতে, সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ ১৫টিতে, বিদ্রোহীরা ছয়টিতে, নাটোরে আওয়ামী লীগ আটটিতে, বিদ্রোহীরা চারটিতে, নওগাঁয় আওয়ামী লীগ ১১টিতে, বিদ্রোহীরা পাঁচটিতে জয় পেয়েছেন।

এই জেলার জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ রোববারের ভোটে ১২টির সব কয়টিতে জয় পেয়েছে। বিদ্রোহীরা সেখানে একটিতেও জিততে পারেননি। বিএনপির একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয় পেয়েছেন একটিতে।

খুলনা বিভাগের খুলনায় একটি ইউনিয়নেই ভোট হয়েছে। তাতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একই বিভাগের কুষ্টিয়ায় নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন সাতটি ইউনিয়নে, দলের বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন চারটিতে, মাগুরায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ছয়টিতে আর বিদ্রোহী প্রার্থী জিতেছেন একটিতে।

এই বিভাগে চুয়াডাঙ্গার চারটি ইউনিয়নে ভোট হয়েছে, যার প্রতিটিতেই জয় পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।

বরিশাল বিভাগের বরিশালে নৌকার প্রার্থীরা দুটি ইউনিয়নে এবং বিদ্রোহী প্রার্থী একটিতে, পটুয়াখালীতে পাঁচটি ইউনিয়নে জিতেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা, বিদ্রোহী প্রার্থীর জয় এসেছে একটিতে।

ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোণায় নৌকা নিয়ে জিতেছেন আটজন প্রার্থী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয় পেয়েছেন তিনজন।

এই জেলার জামালপুরে রোববার ভোট হয়েছে ১২টি ইউনিয়নে, যার প্রতিটিতেই জয় পেয়েছেন নৌকা।

ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জে নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন ৯টিতে, বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন চারটিকে, মুন্সীগঞ্জে নৌকা জিতেছে ৯ ইউনিয়নে, নরসিংদীতে নৌকা জিতেছে সাতটিতে, বিদ্রোহীরা চারটিতে, কিশোরগঞ্জে নৌকা ৯টিতে, বিদ্রোহীরা ছয়টিতে, রাজবাড়ীতে নৌকা ছয়টিতে এবং বিদ্রোহীরা জিতেছেন দুটি ইউনিয়নে।

এই বিভাগে গোপালগঞ্জে ১২টি ইউনিয়নের প্রতিটিতেই জয় পেয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। অন্যদিকে মাদারীপুরের ৯টি ও শরীয়তপুরের ১৯টি ইউনিয়নে বিজয়ীরা সবাই আওয়ামী লীগ ঘরানার। এই দুই জেলায় আওয়ামী লীগ কাউকে মনোনয়ন না দিয়ে প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছিল।

সিলেট বিভাগের সিলেটে নৌকার প্রার্থীরা জিতেছেন সাতটি ইউনিয়নে। অন্যদিকে বিদ্রোহীরা জিতেছেন চারটিতে। হবিগঞ্জে নৌকা জয় পেয়েছে ১১ ইউনিয়নে, বিপরীতে বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছেন চারটি এলাকায়।

চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রামে নৌকা জিতেছে ১৭টি ইউনিয়নে, বিদ্রোহীরা জয় পেয়েছে পাঁচটিতে, নোয়াখালীতে নৌকা জিতেছে ৯টিতে, বিদ্রোহীরা ৬টিতে, কুমিল্লায় নৌকা ১২টিতে, বিদ্রোহীরা দুটিতে, চাঁদপুরে নৌকা ১১টিতে আর বিদ্রোহীরা জিতেছেন চার ইউনিয়নে।

এই বিভাগের চার জেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কোনো প্রার্থী জয় পায়নি অথবা বিদ্রোহী ছিল না।

বান্দরবানের আটটি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা ছয়টিতে এবং দুটিতে কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন প্রার্থী, খাগড়াছড়ির আটটির মধ্যে নৌকা পাঁচটিতে আর তিনটিতে দল নিরপেক্ষ প্রার্থী এবং রাঙামাটির ১০টির মধ্যে একটিতে নৌকা ও বাকি ৯টিতে দল নিরপেক্ষ স্থানীয়রা জয় পেয়েছেন।

এই বিভাগের আরেক জেলা ফেনীতে ভোট হয়েছে মোট ১৫টিতে। এর মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে ১৪টিতে, একটিতে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী।

প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নিউজবাংলার জেলা প্রতিনিধিরা।

এ বিভাগের আরো খবর