বিএনপি তার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পর এসে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যে দাবি করেছে, তার জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমানের পত্নী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনানিবাসে এক সেনা কর্মকর্তার আতিথেয়তায় ছিলেন।
আওয়ামী লীগপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এই আলোচনা শেষে কেক কেটে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
শেখ সেলিম বলেন, ‘আজকে শোনা যাচ্ছে খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা। এই তথ্য বড় বিভ্রান্তিকর। মুক্তিযুদ্ধের সময় উনি (খালেদা জিয়া) ক্যান্টনমেন্টে মেজর জানজুয়ার ওখানে ছিলেন। আসলে এদের (বিএনপি) জন্ম হয়েছে অসত্য মিথ্যা বিভ্রান্ত করে মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য।’
বিএনপি নেত্রীকে দেশের বাইরে যেতে দেয়ার সুযোগ চেয়ে বিএনপির দাবি নিয়েও কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাকে বিদেশ পাঠালে অন্যদেরও পাঠাতে হবে।’
আরও পড়ুন: খালেদাকে ভারত নিতে গিয়েছিলাম, তিনি যান ক্যান্টনমেন্টে: মায়া
বাংলাদেশে দেশে এখন অত্যন্ত উন্নমানের চিকিৎসা সেবা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসায় পর দেশে চিকিৎসা ও শিক্ষার উন্নয়ন করেছেন। দেশে ১২২ টি মেডিক্যাল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিট আছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়লের উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে চিকিৎসকের সংখ্যা ৭০০ চিকিৎসক থেকে ১ লাখ ১০ হাজার চিকিৎসকে উন্নীত করেছেন। স্বাধীনতার আগে চারটি হেলথ কমপ্লেক্স ছিল। সেটিকে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিণত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলার সুযোগ আছে কি
সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘নির্বাচন অতি আসন্ন। শেখ হাসিনার অর্জন ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মানুষকে জানাতে হবে, যা দেখে জনগণ আমাদের ভোট দেবে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। সেই নির্বাচনে জয়ের বিকল্প নেই।’
আয়োজক সংগঠনে মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, ‘হাঁটি হাঁটি পা-পা করে স্বাচিপ বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে চিকিৎসকরা জনতার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে। করোনার সময় সংগঠনের চিকিৎসকরা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে জনগণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) শাখা স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম জোয়ার্দারের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এম ইকবাল আর্সলান।