বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কারিগরি শিক্ষা থাকলে নিয়োগদাতাই খুঁজবে

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:৫৯

জব ফেয়ারে অনস্পট বুকিংয়ের মাধ্যমে তিন শতাধিক লোককে চাকরিতে নিয়োগ দিল দেশের ১২টি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি। যারা নিয়োগ পেলেন, তারা কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

একটি চাকরির জন্য কত জায়গাতেই না ধরনা দেন বেকাররা। দিন শেষে ফেরেন নিরাশ হয়ে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পদ খালি থাকলেও যোগ্যতায় ঘাটতি থাকে। ফলে চাকরি হয় না।

অথচ বাস্তবতা হলো, দেশে যোগ্য লোকের চাকরির অভাব হয় না। খুঁজতেও হয় না। নিয়োগকর্তারাই তাদের খুঁজে নেন। সেটির একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করল পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের একটি সমন্বিত জব ফেয়ারে। এতে অনস্পট বুকিংয়ের মাধ্যমে এক সঙ্গে ৩০০ জন বেকারের কর্মসংস্থান হয়। এদের সবারই রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যাশিত কারিগরি শিক্ষা।

জব ফেয়ারে অংশ নেয়া নিয়োগ কর্তা ও চাকরিপ্রার্থী সবার বক্তব্য: কারিগরি শিক্ষা থাকলে চাকরি সোনার হরিণ নয়।

বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি), অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ এবং এটুআই-এর যৌথ উদ্যোগে রাজধানীর বিকেটিটিসিতে দিনব্যাপী এই জব ফেয়ারের আয়োজন করা হয়।

মেলায় অনস্পট বুকিংয়ের মাধ্যমে চাকরির আবেদন করেন বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা।

এদের মধ্য থেকে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছেন দেশের ১২টি নামকরা প্রতিষ্ঠান।

জব ফেয়ারে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো স্বপ্ন, ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড, ট্রান্স-এশিয়া ইন্ডাট্রিজ লিমিটেড, এসিআই মটরস লিমিটেড, ম্যাটাডোর গ্রুপ, পারটেক্স স্টার গ্রুপ, স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপ, ইস্ট-ওয়েস্ট হিউম্যান রিসোর্স লিমেটেড, ইয়েস্টার্ন রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড, পার্কওয়ে, আম্বার আইটি এবং ব্যাবিলন গ্রুপ।

এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকর্তারা অনস্পট বুকিংয়ের মাধ্যমে মৌখিক ও প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করেন।

এই জব ফেয়ারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘ট্রেনিং বা পড়াশোনা শেষে কোথায় চাকরি হবে, কীভাবে হবে এসব চিন্তা না করে চাকরিপ্রত্যাশীদের দক্ষতার উপর জোর দিতে হবে। চাকরিদাতাদের জন্য আপনি কতটুকু কাজ করতে পারবেন, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের করতে পারবেন, তা দেখেই তারা আপনাকে নিয়োগ দেন। সরকার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মধ্যে একটা সমন্বয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পথ সুগম করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে ও নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখলে যে কেউ তার যোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন।

চাকরিপ্রত্যাশীদের কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দেয়ার উপর গুরুত্ব আরোপ করে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের পরিবর্তন হতে হবে। কারিগরি শিক্ষা নিয়ে যে ট্যাবু আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সময়ের সাথে সাথে না বদলাতে পারলে আমরা টিকে থাকতে পারব না। আজকের এই জব ফেয়ারের মাধ্যমে ৩০০ জন বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি এ ধরনের উদ্যোগ নিকট ভবিষ্যতে চলমান থাকবে।’

অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ-এর ম্যানেজার নাজমুল আহসান বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর সোনার বাংলা গড়তে কারিগরি দক্ষতার উপর জোর দিতে হবে। প্রচলিত ধারণা ভেঙ্গে কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমেও ভালো চাকরি পাওয়ার ধারণাটিকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশকে উন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে প্রযুক্তি দক্ষতা কিংবা কারিগরি দক্ষতার সাথে প্রচলিত শিক্ষার সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। একই সাথে নতুন নতুন উদ্ভাবনের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে দেশকে কারিগরি শিক্ষায় সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে সরকারের কার্যক্রমে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ সার্বিক সহযোগিতা করবে।’

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম বলেন, ‘আজকে চাকরিপ্রত্যাশীরা চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘুরছে, কিছুদিন পর চাকরিদাতারা প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে যাবে। সে জন্য দেশের কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোকে (টিটিসি) ইন্টারলিংকড হয়ে আরও কাজ করতে হবে। কল্পনাপ্রসূত প্রশিক্ষণ না দিয়ে কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে কোম্পানিগুলো তাদের মেশিনারিজ পরিবর্তন করছে। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বা ট্রেনিং সেন্টারগুলোর ত্রিশ বছর আগের ল্যাবে বসে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে সময়োপযোগী দক্ষ জনবল তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর