লঞ্চ, জাহাজসহ নৌযানের ফিটনেস পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় হতাহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৌমিত্র সরদার সোমবার এ রিট করেন।
রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার দিন ঠিক করে দেয়।
এতে বিবাদী করা হয় স্বরাষ্ট্রসচিব, নৌ পরিবহন সচিব, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে।
রিটে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সব নৌযানের ইঞ্জিনের বিষয়ে প্রতিবেদন ও বৈধ লাইসেন্স/পারমিটের প্রতিবেদন কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল লঞ্চটি। এটি ঝালকাঠি সদরের পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে পৌঁছার পর বিস্ফোরণ থেকে আগুন ধরে যায়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন গ্রামপুলিশের এক সদস্য।
এদিকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নৌ আদালতে করা মামলায় চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নৌ আদালত।
আগুনের ঘটনায় নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার সকালে হামজালাল শেখকে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।