ফাটল ধরেছে শ্রেণিকক্ষ, সেমিনার ও শিক্ষকদের বসার কক্ষের বিভিন্ন জায়গায়। ছাদের বিভিন্ন অংশ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। ক্লাস চলার সময়েও গায়ের ওপর ঝরে পড়ে ধুলাবালি। এমন জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ক্লাস করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আশঙ্কা, ব্যবহার অযোগ্য এসব রুমে যেকোনো সময় দুর্ঘটনায় হতে পারে প্রাণহানি।
বিভাগের শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে ভিজে যাচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং বিভাগের ফাইলপত্র।
তারা জানান, দর্শন বিভাগে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন। আশির দশকেরও আগে নির্মিত এই কলা ভবনের চার ও পাঁচতলা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দর্শন বিভাগের সেমিনারের লাইব্রেরিয়ান মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি ছাদের একটি অংশ থেকে সিমেন্টের আস্তরণ ও পলেস্তারা খসে পড়ে টেবিলের ওপর। অল্পের জন্য আমি আঘাত থেকে বেঁচে যাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ক্লাসগুলো জরাজীর্ণ হওয়ায় আমরা চিন্তিত থাকি কখন দুর্ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের উচিত আমাদের শ্রেণিকক্ষগুলো দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করে ক্লাস করার মতো পরিবেশ তৈরি করা।’
ছাদ থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। ছবি: নিউজবাংলা
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে রেট্রু ফিটিং নামক একটি পদ্ধতিতে বিজ্ঞান অনুষদের একটি ভবনের নিচতলায় নমুনা কাজ চালিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই পদ্ধতি দেখে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই পদ্ধতিতে রড যখন ভঙ্গুর হয়ে যায়, তখন সেখান থেকে কেটে নতুন রড সংযুক্ত করে প্লাস্টার করে দেয়া হয়। এ ছাড়া অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে, যেখানে যে পদ্ধতি প্রয়োজন আমরা তা প্রয়োগ করব। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাজেট হলেই আমরা কাজ শুরু করব।’