বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লক্ষ্মীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোটাররা উৎকণ্ঠায়

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৫

পাবর্তীনগরের মিজানুর রহমান, ভবানীগঞ্জের সাইফুল ইসলাম রনি, কুশাখালীর মনযুর চৌধুরী, উত্তর জয়পুরের আবু সৈয়দসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের হুমকি-ধমকি, মামলা-হামলার ভয়ে আতঙ্কে আছেন ভোটাররা।

লক্ষ্মীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘাতের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

চতুর্থ ধাপে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫ ইউপিতে ভোট রোববার।

ইউনিয়নগুলো হচ্ছে বশিকপুর, উত্তর হামছাদী, পাবর্তীনগর, টুমচর, শাকচর, মান্দারী, কুশাখালী, দিঘলী, হাজিরপাড়া, চন্দ্রগঞ্জ, উত্তর জয়পুর, ভবানীগঞ্জ, চরশাহী, চররমণী ও দত্তপাড়া।

এর মধ্যে হাজিরপাড়া, উত্তর জয়পুর ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে ইভিএমে এবং অন্য ১২টিতে ব্যালটে ভোট হবে।

হাজিরপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাজিরপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে হামলা এবং একই এলাকায় নৌকার সমর্থকদের ওপর পাল্টা হামলা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। এসব হামলার ঘটনায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুল আলম বাবুল ও নৌকার প্রার্থী নুরুল মোরছালিন একে অন্যকে দায়ী করেছেন।

এদিকে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সুষ্ঠু ভোট নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোটাররা।

বশিকপুর ইউনিয়নের পোদ্দারবাজারে শুক্রবার সকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের নির্বাচনি অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে নৌকার প্রার্থী আবুল কাশেম জিহাদীর লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই কার্যালয় খুলে দেয়।

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনে নৌকার প্রার্থী কাশেম জিহাদীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটানিং অফিসার মো. সালেহ উদ্দিন।

এদিকে পাবর্তীনগর ইউপিতে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে হুমকিসহ নানা অভিযোগ এনেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান। তিনি পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন।

ভবানীগঞ্জে নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বাদলের ওপর বুধবার রাতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র সাত চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে সদর থানায় মামলা করেন বাদল।

মামলার প্রতিবাদ ও প্রত্যহারের দাবিতে ভবানীগঞ্জের চৌরাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম রনির সমর্থকরা।

উত্তর হামছাদী, দত্তপাড়া, উত্তর জয়পুর, কুশাখালী, দিঘলী, চরশাহী, শাকচর, টুমচরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।

পাবর্তীনগরের মিজানুর রহমান, ভবানীগঞ্জে সাইফুল ইসলাম রনি, কুশাখালীর মনযুর চৌধুরী, উত্তর জয়পুরের আবু সৈয়দসহ একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী জানান, নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকদের হুমকি-ধমকি, মামলা-হামলার ভয়ে আতঙ্কে আছেন ভোটাররা।

সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

এসব ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবদুল খালেক বাদল, নুরুল আমিন, মিজানুর রহিম হামলা-মামলার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দায়ী করছেন।

নৌকার প্রার্থীদের ভাষ্য, নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে তারা এ ধরনের নাটক সাজিয়েছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, অবাধ ও শান্তিপর্ণূ ভোটগ্রহণে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে বেশ কয়েকজনকে অর্থদণ্ড এবং শোকজ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রতিটি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, মানুষ যেন শান্তিপর্ণূভাবে কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনি পরিবেশ ঠিক রাখতে প্রতিটি ইউনিয়নে আইনশৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়োজিত আছেন।

এ বিভাগের আরো খবর