বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকার প্রচারে না যেতে চাওয়ায় মাথা ফাটানোর অভিযোগ

  •    
  • ২৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ০২:০৭

ছগির প্রামাণিক বলেন, ‘আনারসের পক্ষে ভোট করায় আফাই মোল্লার নেতৃত্বে বিকেলে আমার বাড়িতে শতাধিক সশস্ত্র লোক হামলা করেছে। তারা আমাকে ও আমার ছেলে রফিকুল, পুত্রবধু জান্নাত, স্ত্রী লতিফাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে আমাদের এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না বলেও শাসিয়ে গেছে।’

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারে না যেতে চাওয়ায় হামলা চালিয়ে এক ব্যক্তির মাথা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এসময় আরও একটি হামলার ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়নের মতিগাছা বাজারে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম শাহীনের সমর্থক জাহিদ প্রামাণিকের বাড়িতে প্রথমে হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাইমেন হোসেন চঞ্চলের সমর্থক নিফাজ উদ্দিন ও আফাই মোল্লার নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, হামলার সময় আনারসের সমর্থকদের নৌকার পক্ষে মাঠে নামতে বলে নৌকার সমর্থকরা। জাহিদ রাজি না হওয়ায় তারা লোহার রড ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এসময় তাকে বাঁচাতে বাড়ির নারীরা এগিয়ে এলে তাদেরও রড ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।

অভিযুক্তরা একই কারণে পাশের ছগির প্রামাণিকের বাড়িতেও হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তারা ছগির প্রামাণিক ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে চলে যায়।

পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদ প্রামাণিক ও ছগির প্রামাণিককে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়।

আহত জাহিদ প্রামাণিকের মেয়ে সাদিয়া বলেন, ‘দুপুরের পর পর হঠাৎ করেই সন্ত্রাসীরা আমার অসুস্থ বাবাকে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। আফাই মোল্লা ধমক দিয়ে বাবা কেন নৌকার ভোট করছে না জানতে চান। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে ভোটের প্রচারে যেতে বলেন।’

তিনি বলেন, ‘অসুস্থ থাকায় বাবা বাইরে যেতে রাজি না হলে নিফাজ উদ্দিন, মুক্তার, ঠাণ্ডু, জানাই ও বান্ডুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রড ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমরা বাবাকে ছেড়ে দিতে তাদের কাছে মিনতি করলে তারা আমাকে ও আমার মা রোমেছা বেগমকেও পিটিয়ে আহত করেছে।’

পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছগির প্রামাণিক বলেন, ‘আনারসের পক্ষে ভোট করায় আফাই মোল্লার নেতৃত্বে বিকেলে আমার বাড়িতে শতাধিক সশস্ত্র লোক হামলা করেছে। তারা আমাকে ও আমার ছেলে রফিকুল, পুত্রবধু জান্নাত, স্ত্রী লতিফাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। নৌকায় ভোট না দিলে আমাদের এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না বলেও শাসিয়ে গেছে।’

হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে বিচার দাবি করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম শাহীন ও তার সমর্থকরা।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কে এম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে নির্বাচনি প্রচারে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর নৌকার প্রার্থী মোহাইমিন হোসেন চঞ্চলের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এসময় তারা আমার কর্মী সেলিম হোসেনকে হত্যা করেছে। ওই ঘটনাকে হার্ট অ্যাটাক বলে ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এখন শেষ মুহূর্তে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমার কর্মীদের হত্যা চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

হামলার ঘটনায় একজনকে আটকের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজ রহমান বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হওয়ার কথা শুনেছি। গুরুতর আহত দুজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

হামলার অভিযোগ নাকচ করে নৌকার প্রার্থী মোহাইমিন হোসেন চঞ্চল বলেন, ‘হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর