‘জনগণের কথা শুনে যা বুঝতে পেরেছি, তাতে মনে হচ্ছে সম্ভবত লঞ্চচালক অদক্ষ ছিলেন।’
অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঢাকা থেকে বরগুনাগামী লঞ্চ ‘এমভি অভিযান-১০’ পরিদর্শন শেষে শুক্রবার সকালে নিউজবাংলার কাছে এমন মন্তব্য করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যারা আহত ও নিহত হয়েছেন, তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
‘বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট, ঢাকা বার্ন হাসপাতালে কথা বলেছি। বরিশালে যতটা সম্ভব চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’
পরিদর্শনকালে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে ভোর থেকে এখন পর্যন্ত নদী থেকে ৯ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড। এর মধ্যে তিন নারী, তিন পুরুষ ও তিন শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আহম্মেদ অনাবিল।
তিনি জানান, কোস্ট গার্ডের মোট ছয়টি টিম সেখানে কাজ করছে।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী যাত্রীবাহী অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে লঞ্চের ক্যানটিন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।