ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কমিটি তিনটি করা হয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান নিউজবাংলাকে জানান, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল আহমেদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
সংস্থাটির উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সাইফুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক (ডিসি) জোহর আলী জানান, তাদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল আলমকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
ঝালকাঠির পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। এখন পর্যন্ত ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
কেবিন বয় ইয়াসিন জানান, লঞ্চের নিচ তলার পেছনে ইঞ্জিন রুমের পাশের ক্যানটিনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে প্রথমে ইঞ্জিন রুমে ও তারপর পুরো লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান শুক্রবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে জানান, মরদেহ ট্রলারে করে সুগন্ধা নদীর পারে আনা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আনুষ্ঠানিকভাবে ৩৭টি মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে।
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিজানুর রহমান জানান, দগ্ধদের মধ্যে আট শিশুসহ ৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে এসেছেন।