চট্টগ্রাম বন্দরে আপেল আমদানির আড়ালে সিগারেট আমদানি করতে গিয়ে কাস্টমসের হাতে ধরা পড়েছে একটি প্রতিষ্ঠান।
মারহাবা ফ্রেশ ফ্রুট নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি এর মাধ্যমে সোয়া ৫ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে।
তবে সন্দেহজনক হওয়ায় পণ্য চালানটির খালাস আটকে দিয়ে ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘মারহাবা ফ্রেশ ফ্রুট নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি আরব আমিরাত থেকে এক কনটেইনার আপেল আমদানি করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ দেয়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পণ্য খালাস শুরুর পর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পণ্য খালাস বন্ধ করে কনটেইনারে থাকা ১ হাজার ১২০ কার্টন শতভাগ পরীক্ষা করা হয়।’
‘এতে দেখা গেছে ৭৫৪টি কার্টনের মধ্যে আপেলের নিচে ইনার কার্টনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা বিদেশি সিগারেট আছে। যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই চালানে ১ হাজার ১২০টি কার্টনের মধ্যে ৩৬৬ কার্টনে শুধু ফ্রেস আপেল পাওয়া যায় এবং বাকি ৭৫৪ কার্টনে আপেলের নিচে লুকানো অবস্থায় সিগারেট ছিল। সব মিলিয়ে আপেল ছিল ১৭ হাজার ৫৮৬ কেজি।’
এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।