বাংলাদেশের বয়স ৫০ পার হওয়ার পর বিএনপি তার নেত্রী বেগম খলেদা জিয়াকে হঠাৎ করেই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একদিন একটি বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে প্রথমবার যখন বক্তব্য রাখেন, সে সময় বিষয়টি যে দলটির এজেন্ডায় পরিণত হবে সেটা বোঝা যায়নি। কিন্তু এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এবং ফখরুল নিজে যখন একাধিক বক্তব্যে বিষয়টি আবার উল্লেখ করেন, তখন এটা স্পষ্ট যে বিএনপি ইচ্ছে করেই বিষয়টি তুলতে চাইছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই পুত্রকে নিয়ে অবস্থান করা খালেদা জিয়ার মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা নিয়ে বিএনপি কখনও গর্বভরে কিছু বলেছে এমন নয়, বরং রাজনীতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের এ বিষয়ে নানা সময় কটাক্ষকর বক্তব্যেও বিএনপি কোনো জবাব দেয়নি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপির এই দাবিকে ‘তামাশা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সেক্টর কমান্ডার বীর উত্তম খেতাব পাওয়া রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনানিবাস থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতে লোক পাঠিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু বিএনপি নেত্রী যাননি। উল্টো যারা তাকে নিতে এসেছিলেন, তারাই প্রাণ হারিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে।
আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমাদের নেত্রী তখন যুদ্ধও করেছেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। এখন তো কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন, সনদ নিয়ে ঘোরেন। তবে সনদের অপেক্ষায় তো আর ইতিহাস বদলে যাবে না। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, অবশ্যই সেটা মানতে হবে।
এর মধ্যে বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকীর আগে কেবল দলের নেত্রীকে নয়, সে সময় তার দুই শিশুপুত্র তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকেও মুক্তিযোদ্ধা বলতে ছাড়েননি নেতারা।
তবে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তারেক রহমানের বয়স ছিল ৪ বছরের কম আর কোকোর বয়স ২ বছরের কম।
- আরও পড়ুন: তারেককে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বললেন ফখরুল
একজন নেতা এমনও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছেন।
তবে মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা, তাতে কোনোভাবেই এদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলার সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য হলো, এই সংজ্ঞা সরকার তাদের ইচ্ছামতো তৈরি করেছে।
তবে কোন যুক্তিতে খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে হবে- সে বিষয়টি তুলে ধরছেন না বিএনপি নেতারা।
জানতে চাইলে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৭১ সালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তা ছাড়া উনি পাকহানাদার বাহিনীর কাছে বন্দি ছিলেন। এটা সবারই জানা। এতে সন্দেহ নেই।’
বিএনপি কি এখন তার নেত্রীর জন্য মুক্তিযোদ্ধা সনদ চাইবে?
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সব মুক্তিযোদ্ধা কি তালিকাভুক্ত হয়েছেন? এখনও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা স্বেচ্ছায় আবেদন করেননি। তারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।’
বেগম খালেদা জিয়া অবশ্যই একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ৭১ সালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তা ছাড়া উনি পাকহানাদার বাহিনীর কাছে বন্দি ছিলেন। এটা সবারই জানা। এতে সন্দেহ নেই
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি তাকে ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক’ আখ্যা দিয়ে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক বিতর্ক করেছে।
এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায়ও হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রের ওপর ভিত্তি করে সেই রায়ে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর অপারেশন সার্চলাইট শুরুর পর প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ মার্চ যে ঘোষণা দেন, তার আগেও সেখান থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে সেনা-কর্মকর্তাদের হিসাবে জিয়াউর রহমানের ঘোষণাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেটিই বেশি আলোচিত হয়েছে।
উচ্চ আদালতের রায়ের পরও বিএনপি তাদের প্রতিষ্ঠাতাকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ আখ্যা দিয়ে আসছে। এর মধ্যে তাদের নেত্রীকে এবার ‘প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা’ উল্লেখ করল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরুদ্দিন সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযোদ্ধা তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জিয়াউর রহমানের অনুপস্থিতিতে তখন আমাদের নেত্রী প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন। স্বামীর অনুপস্থিতিতে শিশুসন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেরিয়েছেন। তারপরে তো কারাবন্দিই ছিলেন।
খালেদা জিয়া সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন বলেও দাবি দলের স্থায়ী কমিটির আরেক নেতার। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। আমাদের নেত্রী তখন যুদ্ধও করেছেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। এখন তো কত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছেন, সনদ নিয়ে ঘোরেন। তবে সনদের অপেক্ষায় তো আর ইতিহাস বদলে যাবে না। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, অবশ্যই সেটা মানতে হবে।‘
মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া ছিলেন ক্যান্টনমেন্টে। অনেকবার বলেছি, খালেদা জিয়াকে আমি নিতে এসেছিলাম। আমার বন্ধু শহীদ জুয়েলসহ আরও দুইজন। তখন গভীর রাত ছিল। কথা ছিল, আমাদের সঙ্গে তিনি যাবেন ওইপার (সীমান্তের ওপারে)। পরের দিন গিয়ে দেখলাম, তিনি চলে গেছেন ক্যান্টনমেন্টে। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন।
মন্ত্রী কী বলছেন
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা (খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি) আসলে একটা তামাশা। বিএনপি ভালো তামাশা করতে পারে তা নতুন কিছু না। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সেই তামাশার এমন দশা তা আর কী বলব? শেষ পর্যন্ত তারা স্বাধীনতা নিয়ে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাশা করতে ছাড়েনি। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার সমান, দেশকে কটাক্ষ করার সমান।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার যে সংজ্ঞা, তা অনুযায়ী যারা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন তারাই মুক্তিযোদ্ধা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, বিএনপি কি বলতে চায় যে খালেদা জিয়া পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন? এটা তো তারা খোলাসা করছেন না।’
এটা (খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি) আসলে একটা তামাশা। বিএনপি ভালো তামাশা করতে পারে তা নতুন কিছু না। তবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সেই তামাশার এমন দশা তা আর কী বলব? শেষ পর্যন্ত তারা স্বাধীনতা নিয়ে, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাশা করতে ছাড়েনি। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার সমান, দেশকে কটাক্ষ করার সমান।
‘তিনি স্বেচ্ছায় ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছেন আরামে থাকার জন্য। ইতিহাস কী বলে, সেটা দেশবাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখলাম’-বলেন একাত্তরের রণাঙ্গনের যোদ্ধা মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি যদি তাদের নেত্রীকে আদর করে ভালোবেসে কোনো উপাধি দিতে চায়, সেটা আলাদা কথা। তবে সেখানেও আমার আপত্তি আছে, আদর করে মা ডাকেন, মুক্তিযোদ্ধা না।’
‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় সেনানিবাসে ছিলেন’
সেক্টর কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন, এই যে এসব কথা, এগুলো কি তাদের (বিএনপি) কল্পনা? যখন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়াকে নিয়ে যেতে, তখন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন? এসব ইতিহাস ঘাঁটলে বিএনপি কোথায় পালাবে তা জানা নেই। উনি মুক্তিযোদ্ধার মধ্যেই পড়েন না।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা আলোচিত অভিযান চালানো অপারেশন ক্র্যাক প্লাটুনের যোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এক আলোচনায় ১৯৭১ সালের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া ছিলেন ক্যান্টনমেন্টে। অনেকবার বলেছি, খালেদা জিয়াকে আমি নিতে এসেছিলাম। আমার বন্ধু শহীদ জুয়েলসহ আরও দুইজন। তখন গভীর রাত ছিল। কথা ছিল, আমাদের সঙ্গে তিনি যাবেন ওইপার (সীমান্তের ওপারে)। পরের দিন গিয়ে দেখলাম, তিনি চলে গেছেন ক্যান্টনমেন্টে। দীর্ঘ ৯ মাস ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন।’
মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় যা রয়েছে
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত গেজেট অনুযায়ী তারাই মুক্তিযোদ্ধা, যারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধে অংশ নিতে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন অথবা বিদেশে অবস্থানকালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন, বিশ্বে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন অথবা যুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অথবা সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, ইপিআর, আনসার বাহিনীর সদস্য যারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন অথবা পাকিস্তানি বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত নারী।
যেভাবে সামনে আসে প্রসঙ্গটি
গত ১১ ডিসেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়া হচ্ছেন সেই নেতা, ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে যার ভূমিকা একজন মুক্তিযোদ্ধার। তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন। আর আমাদের (বিএনপির) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরেকজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তিনিও তখন মায়ের সঙ্গে কারাগারে ছিলেন।’
দুই দিন পর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, ‘এই দেশের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা, প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় তারা আটক করে রেখেছে। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ, গুরুতর অসুস্থ।’
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের জন্মের বয়স হিসাব করলে তাদের যুদ্ধ বা রাজনীতি বোঝার কথা নয়। তারেকের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স ছিল সাড়ে তিন বছরের কম। অন্যদিকে কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স দেড় বছরের কিছু বেশি।
২০ ডিসেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে আরেক আলোচনায় ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে দুই শিশুর হাত ধরে, আজকে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর হাত ধরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।’
তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের জন্মের বয়স হিসাব করলে তাদের যুদ্ধ বা রাজনীতি বোঝার কথা নয়।
তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স ছিল সাড়ে তিন বছরের কম।
অন্যদিকে কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তার বয়স দেড় বছরের কিছু বেশি।
শুধু মির্জা ফখরুল নন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও একাধিক আলোচনায় খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বক্তব্য রেখেছেন।
গত বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৮ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়াসহ তার দুই সন্তানকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কারাগারে মাসের পর মাস কাটাতে হয়েছে। তারা মুক্তিযোদ্ধা। তাদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা।‘
শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘তোমরা সত্য জানার চেষ্টা করো। মনে রাখবে জ্ঞান তাই যা সত্য। মিথ্যা জানা জ্ঞান নয়। যারা মিথ্যা জানাতে চায় তারা আমাদেরকে অজ্ঞানতার অভিশাপে আবদ্ধ করতে চায়। কাজেই সত্য জানার আবেগ ও উৎসাহ আরও জাগ্রত হোক।’