বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

একসনা বন্দোবস্ত নেয়া সরকারি জমি নিজ নামে

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৩৫

অভিযোগ থেকে জানা যায়, শার্শা মৌজার তৎকালীন ১২৫৫ দাগের ৩৫ শতাংশ সরকারি জমি ফজলুর রহমান ১৯৭৮ সালে একসনা বন্দোবস্ত নেন। সেই জমির ৩২ দশমিক ৬৩ শতাংশ (প্রায় এক বিঘা) ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিজ নামে রেকর্ড করে নেন।

যশোরের শার্শায় কাছারি বাড়ির সরকারি জমি ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করে নেয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

প্রথমে একসনা বন্দোবস্ত নেয়া জমিটি ৪১ বছর আগে গোপনে নিজ নামে লিখে নেন স্থানীয় ফজলুর রহমান নামে একজন। তার মৃত্যুর পর সেই জমি রেকর্ড করা হয়েছে সন্তানদের নামে।

জালিয়াতির সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান দুদকের যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান। এর আগে বুধবার দুদকের একটি দল ওই জমি পরিদর্শন করে।

দুদকের সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, অভিযোগের সতত্য পাওয়া গেছে। জমি ফিরে পেতে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে মামলা করা হয়েছে। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সরকারি জমিটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, শার্শা মৌজার তৎকালীন ১২৫৫ দাগের ৩৫ শতাংশ সরকারি জমি ফজলুর রহমান ১৯৭৮ সালে একসনা বন্দোবস্ত নেন। সেই জমির ৩২ দশমিক ৬৩ শতাংশ (প্রায় এক বিঘা) ১৯৮০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নিজ নামে রেকর্ড করে নেন।

প্রথম দিকে গোপন থাকলেও তার মৃত্যুর পর সন্তানরা সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ওই সময় উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) খোরশেদ আলম চৌধুরী ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর এক চিঠিতে উল্লেখ করেন, কালেক্টরেট যশোরের নামে কাছারি বাড়ি বাস্তু শ্রেণির জমি। সেই জমি ধানি জমি হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ফজলুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার সন্তানদের নামে জমিটি রেকর্ড করা হয়।

জমি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে তখন জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। এরপর যশোরের জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে এলএসটি মামলা করার জন্য রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে চিঠি দেয়া হয়।

যশোর আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী বাহাউদ্দীন ইকবাল জানান, জেলা প্রশাসনের চিঠি পেয়ে ওই বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালতে আটজনের নামে মামলা করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন মোড়লপাড়ার ফজলুর রহমানের স্ত্রী রেহেনা খাতুন, পাঁচ সন্তান জসিম উদ্দিন, করিম হোসেন, মনির হোসেন, ইমাম হোসেন, শাহিনা খাতুন এবং নুরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন ও মমতাজ বেগম।

তিনি আরও জানান, এ মামলায় বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে আগামী ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি মামলার দিন দিয়েছেন। আর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। সেই নির্দেশ পেয়ে দুদক যশোর কার্যালয়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর