বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নির্যাতনের দিন স্মরণে নুরের সমাবেশ

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৬:৩৫

২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে ভিপির রুমে বাতি নিভিয়ে নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলা হয়। এতে দায়ী করা হয় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর আগে ডাকসু ভবনে হামলার ঘটনা স্মরণ করে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

বুধবার ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সমাবেশে ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি এবং গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর সমালোচনা করেছেন ছাত্রলীগের।

তিনি বলেন, 'ছাত্রলীগের ইতিহাস ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু বর্তমানে এটি ফাঁকা। গত ২০ বছরে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এমন ২০ জনের পিএইচডি ডিগ্রি আছে তা তারা দেখাতে পারবে না। কিন্তু ২০ বছরে ছাত্রলীগের খুন-সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি এমন হাজার অপকর্মের ফিরিস্তি দেয়া যাবে।'

২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে ভিপির রুমে বাতি নিভিয়ে নুরুল হক নুরসহ তার সঙ্গীদের ওপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেদিন হামলায় নুরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

সেই হামলার আজও বিচার না হওয়ায় এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। সমাবেশে হামলার বিভিন্ন আলোকচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।

হামলার ঘটনা তদন্তে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়। তদন্ত কমিটিকে ছয় কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল। তবে দুই বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি।এ প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, 'ছয় কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছিল। সেই তদন্ত দুই বছরেও আলোর মুখ দেখেনি। আপনারা কি বুঝতে পারছেন, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে?

'হামলার বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলের নির্দেশনা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানত। আমি তাৎক্ষণিক প্রক্টর স্যারকে ফোন করেছিলাম, উপাচার্য স্যারকে ফোন করেছিলাম। সেদিন কাউকেই ফোনে পাইনি।'

নুর বলেন, 'ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদ করায় ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার দালাল, উগ্র হিন্দুত্ববাদের দোসররা সেদিন ডাকসু ভবনে আমাদের ওপর হামলা করে।

'রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগ স্লোগান দেয়, একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর। শিবির যদি নিষিদ্ধ সংগঠন হয়, তাদের আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করুন। কিন্তু একটা সংগঠন কীভাবে মানুষকে জবাই করার স্লোগান দেয়?'

অল্প দিনেই সরকার পতনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। এই মাফিয়াদের নির্মম পতন হবে। সেদিন প্রতিটি আঘাতের কড়ায়-গণ্ডায় শোধ নেয়া হবে। দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনা হবে।’

ছাত্র অধিকার পরিষদ সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল মিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসাইন, সহসভাপতি আসিফ মাহমুদসহ নেতারা।

সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন ছাত্র ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

এ বিভাগের আরো খবর