সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান হত্যা মামলার পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের অনুপস্থিতিতেই শুরু হচ্ছে এই মামলার বিচার।
নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলাম বুধবার সকালে এ নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তায় এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ এই মামলার আসামি ৫ পুলিশ সদস্যকে আদালতে হাজির করা হয়।
তবে পরবর্তী শুনানির তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবুল ফজল।
তিনি জানান, আদালত নোমানের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিল। পুলিশ পলাতক নোমানের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মালামাল পায়নি। এই অবস্থায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালামাল ক্রোকের বিষয়ে পরোয়ানার শুনানির দিন ধার্য ছিল ৫ ডিসেম্বর। ওই দিন সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে জারি করা ক্রোক পরোয়ানা তামিল হয়ে না আসায় পরবর্তী শুনানির তারিখ ২২ ডিসেম্বর ধার্য করে আদালত।
গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হানকে নির্যাতন করেন এসআই আকবরের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরদিন সকালে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রায়হানকে মৃত দেখতে পান স্বজনেরা।
এরপর রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পরে এসআই হাসান, কনস্টেবল টিটু ও হারুন অর রশিদ, এএসআই আশেক ই এলাহীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়।
ঘটনার মাসখানেক পর পলাতক প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
চলতি বছরের ৫ মে এসআই আকবরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পিবিআই।
এর কয়েক মাস পর গত ১ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।
যে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয় তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য। তারা হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ।
অভিযুক্ত অপরজন আব্দুল্লাহ আল নোমান, যার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। তার বিরুদ্ধে ঘটনার পর ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ আছে।
অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান প্রথম থেকেই পলাতক আছেন।