বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিবাহিত ছাত্রীদের হলে না থাকার বিধি বাতিলে আইনি নোটিশ

  •    
  • ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ১১:৪০

নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক বিধানটি বাতিল করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্তঃসত্ত্বা ও বিবাহিত ছাত্রীদের হলে না থাকার বিধি বাতিল চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির এ নোটিশ পাঠান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শামসুন নাহার হল, কুয়েত-মৈত্রী হল ও সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্টের কাছে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক বিধানটি বাতিল করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, “সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রী হলে বিবাহিত হওয়ার কারণে কতিপয় ছাত্রীর আবাসিক সিট বাতিল করা হয়েছে। শামসুন নাহার হলের আবাসিক ছাত্রীদের সিট বণ্টন সম্পর্কিত ও অন্যান্য শৃঙ্খলামূলক নিয়মবিধির ১৬ নং বিধিতে বলা হয়েছে, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবে। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে, বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবে না।’”

এতে আরও বলা হয়, ‘এই বিধানের ফলে কার্যত বিবাহিত শিক্ষার্থীরা হলের আবাসিক সুবিধা গ্রহণ করে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

‘বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারাত্মক অসন্তোষ এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে এমন বৈষম্যমূলক বিধান থাকার বিষয়টি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হচ্ছে।’

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং ২৮ (১) ও (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে। বিবাহিত ছাত্রীদের জন্যে এমন নিয়ম নারীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথে প্রতিবন্ধকতা এবং সংবিধানের ২৭ এবং ২৮ নং অনুচ্ছেদের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এ কারণ উল্লেখ করে বিধানটি বাতিল চাওয়া হয়েছে।’

বিবাহিত হওয়ায় হলের সিট হারাচ্ছেন ঢাবি ছাত্রীরা’ শিরোনামে গত ১৫ ডিসেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় নিউজবাংলায়। এতে বলা হয়, বিবাহিত হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে এক শিক্ষার্থীর সিট কেটে দিয়েছে হল প্রশাসন। বিবাহিত হওয়ায় আরও কয়েকটি হলেও নারী শিক্ষার্থীদের সিট বাতিল করা হচ্ছে।

ভুক্তভোগীদের একজন জানান, ১২ নভেম্বর হলের সিট বরাদ্দ কমিটির একজন শিক্ষক বিবাহিত হওয়ায় তার সিট কেটে দেন। ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তবে তিনি তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী। করোনার বন্ধে আমার বিয়ে হয়। বন্ধের পর যখন আমি হলে আসি তখন ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী স্বামীর মঙ্গল কামনায় শাখা-পলা-সিঁদুর পরি।

‘হল খোলার প্রথম দিন বিষয়টি একজন ম্যামের নজরে আসার পর তিনি আমি বিবাহিত কি না জানতে চান। আমি বিবাহিত বললে তিনি আমার নাম মার্ক করে রাখেন। এরপর ১২ নভেম্বর আমার ফ্লোরের ইলা ইসমাইল ম্যাম আমার সিট কেটে দেন। যখন আমার সিট কাটা হয়, তখন পরীক্ষা চলছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর