যশোরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় আওয়ামী লীগ থেকে ৩৯ জন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৮ জন, কেশবপুরে ১০ জন ও অভয়নগরে একজন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন মঙ্গলবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন
তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বহিষ্কার হওয়া নেতাদের মধ্যে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য কাজী আলমগীর হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক হুমায়ুন কবীর তুহিন, উপশহরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন রত্ন, চাঁচড়ার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম রেজা ও তাঁতী লীগ নেতা ফারুক হোসেন, দেয়াড়ার বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আনিছুর রহমান, আরবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান খোকন, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ফারুক আহমেদ বাবু ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুল ইসলাম।
বহিষ্কার অন্য নেতারা হলেন চুড়ামনকাটির বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান মুন্না, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবীর মিলন, সদরের ইছালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আজিজুর রহমান ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, রামনগর তরুণ লীগ জেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদ হাসান লাইফ, কাশিমপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম সাইফুল, হৈবতপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সহসভাপতি আহম্মদ আলী ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হরেণ কুমার বিশ্বাস।
এছাড়া বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরও রয়েছেন ফতেপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা ফাতেমা আনোয়ার ও শিল্পী বেগম, কচুয়ায় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জেলা শাখার সহসভাপতি শেখ মাহমুদ হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুর রশিদ ও কাজী হাফিজুর রহমান রত্ন, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম। এছাড়া অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সানা আব্দুল মান্নানকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, আনিছুর রহমান, বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য আমজাদ হোসেন, সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য এস এম মনজুর রহমান, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য উত্তম ঘোষ, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম খান সুজন ও গৌরিঘোনা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক মাসুদুর রহমান।
দলে এতো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকা নিয়ে জেলা সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে নেতার সংখ্যা বেশি হয়ে গেছে। এ কারণেই আগের চেয়ে বিদ্রোহের মাত্রা বেড়ে গেছে বলে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
তবে আগামী তিন দিনের মধ্যে নৌকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।