ভৈরবে এক কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না আব্দুল লতিফ বেপারী নামের এক বৃদ্ধের। বাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
সোমবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অজ্ঞান অবস্থায় লতিফ বেপারীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসে ৬৫ বছর বয়সী লতিফ বেপারীর সঙ্গে থাকা তার মেয়ের দাবি, তার বাবা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আব্দুল লতিফ। ছয় ভাই, তিন বোনের মধ্যে ৬৫ বছর বয়সী তিনি ছিলেন সবার বড়। তার তিন ছেলে, এক মেয়ে রয়েছে।
একমাত্র মেয়ে বন্যা আক্তারকে নিয়ে সোমবার লতিফ গিয়েছিলেন ভৈরবে এক কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করাতে। ফেরার পথে টঙ্গীর বোর্ডবাজার এলাকায় বাসের সিটে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
বন্যা আক্তার বলেন, ‘কবিরাজের কাছে চিকিৎসা শেষে বিকেলে বাসে করে গাজীপুর টঙ্গী বাসার উদ্দেশে রওনা দিই। বাসে ডাবল সিট খালি না থাকায় বাবা পাশের অন্য একটি সিটে বসেন। গাড়ির মধ্যে তাকে কে বা কারা নেশাজাতীয় কিছু খাইয়ে দেয়। পরে বোর্ডবাজার এলাকায় বাস থেকে নামার সময় বাবাকে বাসের সিটে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তবে তার কাছ থেকে কোনো কিছু নিতে পারেনি। সবকিছু অক্ষত ছিল।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, গাজীপুর বোর্ডবাজার থেকে অচেতন অবস্থায় এক ব্যক্তিকে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।