বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফরিদপুর শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ ০৮:২৩

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘শহরজুড়ে দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুলিশ নজরদারি করছে সব কিছু। এতে শহরের অপরাধ তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করেছে। আমরা পুরো সিস্টেম কন্ট্রোল করার জন্য দক্ষ টিম তৈরি করেছি। তারা সব সময় মনিটর করছে।’

ফরিদপুর শহরকে নিরাপত্তার আওতায় আনতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। শুধু পুলিশই নয়, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্থাপন করেছেন সিসি ক্যামেরা। এতে শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে এক ধরনের নিরাপত্তার চাদর।

শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলা সদরের পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে সিঅ্যান্ডবি ঘাট এবং ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, আদালত চত্বরসহ জেলা সদরের সব সরকারি দপ্তরেও লাগানো হয়েছে ক্যামেরা।

এ ছাড়া বিভিন্ন আবাসিক ভবন ও প্রতিষ্ঠানের মালিকরা নিজ উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, নাগরিকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর পুলিশিং নজরদারির জন্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। শহরের বাণিজ্যিক এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আবাসিক এলাকা এবং শহরে প্রবেশের প্রতিটি সড়কে স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এর মাধ্যমে সুরক্ষিত হয়েছে নাগরিকদের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

তিনি বলেন, ‘শহরজুড়ে দুই শতাধিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে পুলিশ নজরদারি করছে সব কিছু। এতে শহরের অপরাধ তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করেছে। আমরা পুরো সিস্টেম কন্ট্রোল করার জন্য দক্ষ টিম তৈরি করেছি। তারা মনিটর করছে সব সময়।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, ‘প্রথমত, একজন নাগরিক হিসেবে এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। পুলিশের এই কাজের ফলে শহরবাসীর সামাজিক নিরাপত্তা বাড়বে। অপরাধীরা তাদের কর্মপরিধি কমাবে।’

তবে শুধু সিসি ক্যামেরা স্থাপন করলেই চলবে না, তা সচল রাখতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তিনি।

পুলিশের এমন উদ্যোগের পর বিপণিবিতান ও আবাসিক ভবনগুলোতেও এ প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে।

শহরের আলিপুর রওশন খান সড়কে নতুন বাড়ি নির্মাণ করেছেন ব্যাংকার হাদী নান্নু। তার ভবনে স্থাপন করা হয়েছে একাধিক সিসি ক্যামেরা। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার ও ভাড়াটিয়াদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

হাদী নান্নুর মতো শহরের ঝিলটুলি, নীলটুলি, খাবাসপুর, টেপাখোলাসহ সব মহল্লায় এ ব্যবস্থা করেছেন আবাসিক ভবন মালিকরা।

সরকারি চাকরিজীবী কামরুল হাসান তার দক্ষিণ ঝিলটুলির বাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে যেসব সহিংসতা, চুরির ঘটনা ঘটেছে, সেসব দেখে আমরা মনে করেছি, ভবনের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো দরকার। তাই স্থাপন করেছি।

‘এখন কেউ যদি ওই রকম কিছু করে, তাহলে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারব। এ ছাড়া সিসি ক্যামেরার ভয়ে দুষ্কৃতকারীরা কোনো অপরাধ করার আগে দুবার চিন্তা করবে।’

শহরে সিসিটিভি ক্যামেরার সরঞ্জাম বিক্রেতারা জানান, গত পাঁচ মাসে এ জাতীয় পণ্যের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে।

আলিপুর রেড ক্রিসেন্ট মার্কেটের স্মার্ট ভিউয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বি রনি বলেন, ‘আগের তুলনায় ইদানীং আমাদের দোকানে সিসি ক্যামেরা বিক্রি বেড়েছে। মানুষ নিরাপত্তার বিষয়ে বেশ সচেতন হয়ে উঠেছে। আবার এ জাতীয় সরঞ্জামাদির দামও এখন অনেক কম। তাই অনেকেই নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা কিনছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্যিক ভবন বা অফিসের বাইরেও আবাসিক ভবনগুলোর জন্য অনেক ক্যামেরা বিক্রি হচ্ছে। জেলা শহরের বাইরে থেকেও ক্রেতা আসছে। এসব ক্যামেরায় টানা তিন মাস পর্যন্ত ভিডিও সংরক্ষণ করা যায়।’

সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী জানান, সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে সম্প্রতি মোটরসাইকেল চোর চক্র ও কয়েকজন ছিনতাইকারীকে পুলিশ ধরতে পেরেছে। সিসি ক্যামেরা নাগরিকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। তবে স্থাপিত ক্যামেরাগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে, না হলে এই ভালো উদ্যোগের সুফল পাওয়া যাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর