বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্য মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান পাঠাতে দেশটির সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রোববার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শিগগিরই মালদ্বীপ যাচ্ছেন। সেখানে আমাদের হেলথ প্রফেশনাল গ্রহণের জন্য একটি ডিড অফ অ্যাগ্রিমেন্টের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
‘মালদ্বীপের সঙ্গে আগে আমাদের একটি এমওইউ ছিল, এর মাধ্যমেই আমাদের হেলথ প্রফেশনালসরা সেখানে যেত। মালদ্বীপ বলেছে এটা ২০২৪ পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে এবং একটি চুক্তির মধ্যে নিয়ে আসতে। এমওইউতে তো বাধ্যবাধকতা থাকে না। চুক্তি করলে বাধ্যবাধকতা থাকবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সেখানে কোয়ালিফাইড হেলথ প্রফেশনালস, পাবলিক হেলথ স্পেশালিস্ট, ডেন্টাল সার্জন, নার্সসহ অন্যান্য স্টাফ বাংলাদেশ থেকে নেবে মালদ্বীপ। সে জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে।
‘সেই চুক্তিটা আজ আনা হয়েছিল, সেটা মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে। আমরা আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী কয়েক দিনের মধ্যে মালদ্বীপ যাবেন, সেখানে এই চুক্তি সই হবে। এতে আমাদের দেশের বেশ কিছু মেডিক্যাল ক্যাটাগরির বিভিন্ন লোকজন যাবেন’, যোগ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরে এই চুক্তি সই হতে পারে বলে জানান খন্দকার আনোয়ারুল। বলেন, আগামী ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফরের কথা রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশ মালদ্বীপে বিভিন্ন খাতে কাজ করছেন প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি। দেশটির পর্যটন খাত ব্যাপক বিকশিত হওয়ায় সেখানকার অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুতগতিতে। এ কারণেই দেশটির বিভিন্ন খাতে দক্ষ কর্মীর ব্যাপক চাহিদাও তৈরি হয়েছে।
তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই আগের মতো কর্মী পাঠাতে পারছে না বাংলাদেশ। আর এর প্রভাব পড়েছে রেমিট্যান্সপ্রবাহে। অনেক দিন ধরেই বিকল্প বাজারের খোঁজ করছে ঢাকা। এ ক্ষেত্রে মালদ্বীপ জনশক্তি রপ্তানির একটি ভালো বাজার হতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।