কুমিল্লা সিটির ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পিচ্চি নাজিম নামে পরিচিত মো. নাজিম গুলি চালানোর কথা আদালতে স্বীকার করেছেন বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) পরিমল দাস।
তিনি জানান, রিমান্ডে নাজিম স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন। বুধবার সন্ধ্যায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠান জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহেন আরা আক্তার।
পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সহযোগিতায় গত সোমবার রাতে নাজিম ও রিশাত ওরফে নিশাতকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
সুজানগরে নিজ কার্যালয়ে ২২ নভেম্বর বিকেলে কাউন্সিলর সোহেলসহ গুলিবিদ্ধ হন অন্তত ছয়জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল ও তার সঙ্গী হরিপদ সাহার মৃত্যু হয়।
পরদিন সোহেলের ভাই সৈয়দ মো. রুমন থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন প্রধান আসামি শাহ আলম, ৩ নম্বর আসামি সাব্বির হোসেন ও ৫ নম্বর আসামি মো. সাজেন। বুধবার পর্যন্ত এজাহারনামীয় সাতজন ও সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব।
তাদের মধ্যে মামলার ২ নম্বর আসামি সোহেল ও ১০ নম্বর আসামি সায়মন রিমান্ডে পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।