বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলমা ‘হত্যা’র বিচার দাবিতে মানববন্ধন

  •    
  • ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৬:৪৮

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে বোঝা যায় এই মেঘলা মেয়েটিকে আগে মানসিকভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে, এখন তাকে যে হত্যা করা হয়নি- এটা তাদের প্রমাণ করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে জড়িতদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বুধবার এই মানববন্ধন হয়। এতে অংশ নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘গত রাত থেকে এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি, তাতে বোঝা যায় এই মেঘলা মেয়েটিকে আগে মানসিকভাবে হত্যা করা হয়েছে।’

এলমাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে প্রক্টর বলেন, ‘তাকে হত্যা করা হয়েছে, এখন তাকে যে হত্যা করা হয়নি- এটা তাদের প্রমাণ করতে হবে।’

এ সময় একটি সুষ্ঠু তদন্ত করে এ ঘটনার দ্রুত বিচার কার্যকর করার দাবি জানান গোলাম রাব্বানী।

রাজধানীর বনানী এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে এলমা চৌধুরী মেঘলার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলমার বাবার করা মামলায় তার স্বামী ইফতেখার আবেদীনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

মানববন্ধনে নৃত্যকলা বিভাগের চেয়ারপারসন রেজওয়ানা চৌধুরী বলেন, ‘আমি যখন খবর পেয়ে গতকাল হাসপাতালে গেলাম, তখন প্রথমেই তার স্বামীকে দেখে এবং তার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছিল সে অস্বাভাবিক। পরে যখন আমি মেঘলার লাশ দেখলাম, তখন দেখি তার মুখ থেকে শুরু করে সারা শরীরে আঘাতের দাগ।

‘যদি মেঘলা গলায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তার সারা গায়ে আঘাতের দাগ থাকবে কেন? এটি সাধারণ কোনো আত্মহত্যার ঘটনা নয়।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার দাবি করছি, প্রতিবাদ করছি, কিন্তু তাতে কী হবে। মেঘলা তো আর ফিরে আসবে না। এ জন্য তোমাদের সচেতন হতে হবে। যেকোনো সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিতে হবে।’

সুফিয়া কামাল হলের হাউসটিউটর এবেকা বলেন, ‘নারীদের ইস্পাত কঠিন হয়ে দাঁড়াতে হবে। তাকে মেরে ফেলার আগে তাকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। এখানেও মেয়েদের ঘাটতি আছে। একজন মানুষকে মেরে ফেলার সুযোগ কেন দিতে হবে। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তারা স্বামী, বাবা, বন্ধু বা ভাই হতে পারে না।

‘যারা নারীদের অত্যাচার করে, তারা কাপুরুষ। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আর দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। নারীরা যেন তাদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারে, সে জায়গাটা যেন আরও সুন্দর হয়।’

নৃত্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তামান্না রহমান বলেন, ‘আমার সন্তানকে আজকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিছু দিন আগে আমরা আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দেখেছি। এটির চেয়ে আরও দ্রুতগতিতে যেন এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়।

‘এলমার স্বামীর পরিবার ধনাঢ্য। তাদের বিচারে প্রভাব ফেলার সুযোগ রয়েছে। এটি যেন কোনোভাবেই না হতে পারে, সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

শিক্ষার্থীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তামান্না বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি এলমার সঙ্গে এই নরপিশাচের ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়ে সম্পর্কে যাওয়াটা মানুষের জন্য কতটা ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে- আপনারা এটির থেকে শিক্ষা নিন।’

এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূ্ঁইয়া।

মানববন্ধনে মেঘলার বিভাগের শিক্ষক ছাড়াও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, কবি সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শামিমা বানু, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল বাছির, এ কে এম খাদেমুল হক, আশা ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং মেঘলার সহপাঠীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর