ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
রাজধানীর বনানী থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন তিনি।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বুধবার সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন এবং তার শ্বশুর-শাশুড়িকে।
মামলায় মঙ্গলবার আটক হওয়া ইফতেখারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার মা-বাবাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা করেছেন তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী।
রাজধানীর বনানী থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলাটি করেন তিনি।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বুধবার সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদীন ও তার মা-বাবাকে।
মামলায় মঙ্গলবার আটক হওয়া ইফতেখারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তার মা-বাবাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নির্যাতনে হত্যার অভিযোগ
ইলমা ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী। তিনি সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঢাকার ধামরাই পৌর এলাকায়।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইলমার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়।
ইলমার মরদেহ রাত ১টা পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা ছিল। মরদেহ মর্গে নেয়ার সময় তার সহপাঠীরা সঙ্গে ছিলেন। রাত ১টা পর্যন্ত ইলমার পরিবারের কোনো সদস্যকে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে দেখা যায়নি।
সহপাঠী নুসরাত জাহান তিথি বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ক্লাসে অনিয়মিত হয়ে পড়ে ইলমা। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ওপর নজরদারি চালাত বলে মনে হয়েছে। কয়েক দিন আগে তার স্বামী কানাডা থেকে ফেরার পরই এই ঘটনা ঘটল।’
আরেক সহপাঠী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘মেঘলার বিয়ে হয়েছে ছয় মাস আগে। কী করে কী হয়েছে জানি না। ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়ে ওর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখেছি।’
সহপাঠী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর সে শুধু পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসত। সে সময় তার শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে একজন লোক সঙ্গে থাকত। ইলমার হাজব্যান্ড ভিডিও কলে এসব দেখত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিয়ের পর ইলমা সম্পূর্ণ চেঞ্জ হয়ে যায়। বোরকা-হিজাব পরা শুরু করে। আমাদের কারও সঙ্গে কথা বলত না। নীরবে এসে নীরবেই চলে যেত। আমরা এখন বুঝতে পারছি, বিয়ের পর তাকে ব্যাপক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের মধ্যে রাখা হতো।
‘ইলমার বাড়ি সাভারে, আর সে থাকত বনানীতে। সেখানে তার শ্বশুর-শাশুড়ি থাকত। তার স্বামী থাকত কানাডায়। সম্প্রতি দেশে আসে। তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হতো, কিন্তু সে মুখ বুজে সবকিছু সহ্য করত।’
ইলমার মামা ইকবাল বলেন, ‘ওর শাশুড়ির কল পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি ও মারা গেছে।’
মৃত্যুর কারণ নিয়ে কী বলছে পুলিশ
বনানী থানার ওসি নূরে আজম মিয়া মঙ্গলবার রাতে বলেন, ‘বিকেল ৪টার দিকে ইলমাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘণ্টাখানেক পর সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার স্বামী ইফতেখারকে ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাসা বনানীতে।
‘মরদেহে আঘাতের বেশ কিছু চিহ্ন রয়েছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। ভিকটিমের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’