ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
দেশটির ক্যাপ হাইতিয়ান শহরে মঙ্গলবার সকালের দিকে এই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
একটি ট্যাক্সির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে ট্যাংকারটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে ট্যাংকার থেকে গড়িয়ে পড়া জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমায়। ওই সময় ট্যাংকারটি বিস্ফোরিত হয়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষ দগ্ধ হয়।
শহরটির মেয়রও প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বার্তা সংস্থা বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতির সরকারি কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা ৫০ জন ছাড়িয়ে যাবে। আহত মানুষে ভরে গেছে হাসপাতালগুলো।
ক্যাপ-হাইতিয়ানের ডেপুটি মেয়র প্যাট্রিক আলমোনোর বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ৫০-৫৪ জনকে জীবন্ত পুড়ে মারা যেতে দেখেছি। তাদের শনাক্ত করা অসম্ভব।
‘বিস্ফোরণে ওই এলাকার প্রায় ২০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে এসব বাড়িতে কত সংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছে সে বিষয়ে আমরা এখনও বিস্তারিত জানতে পারিনি।’
স্থানীয়রা বলছেন, বিস্ফোরণে দগ্ধ রোগীতে পার্শ্ববর্তী জাস্টিনিয়েন ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল ভরে গেছে। ওই হাসপাতালে আহত লোকজনকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
হাসপাতালের একজন নার্স বলেন, ‘গুরুতর দগ্ধ এসব রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা এখানে নেই। আমরা ভয় পাচ্ছি, দগ্ধ অনেককেই হয়তো বাঁচাতে পারব না।’
হাইতির প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি বলেন, ‘ট্যাংকার বিস্ফোরণে প্রায় ৪০ জন মারা গেছেন এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরিভিত্তিতে সেখানে ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।’
মেয়র প্যাট্রিক আলমোনোরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি মোটরসাইকেল ট্যাক্সির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাংকারটি উল্টে যায়।