গাজীপুরের টঙ্গীতে অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে অপহরণের শিকার শিশুকে রাতে উদ্ধার করা হয় বলে মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গী পশ্চিম থানায় সংবাদ সম্মেলনে জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশের অভিযানে অপহৃত শিশু উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অপরণের শিকার দশ বছর বয়সী হাবিবুর রহমান মুছা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ধর্মদাহ গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। পরিবারটি টঙ্গীতে থাকে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন জামালপুরের ইসলামপুর থানার গোয়ালেরচর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে ১৯ বছর বয়সী মিনহাজ ও সওদাগর শেখের ছেলে ২০ বছর বয়সী সুমন মিয়া।
উপকমিশনার ইলতুৎমিশ জানান, সোমবার বিকেল ৩টার দিকে টঙ্গীর সুলভাগ এলাকায় কোচিংয়ে পড়তে যায় মুছা। কোচিং শেষে বাসায় ফেরার পথে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে অপহরণ করা হয় শিশুটিকে। পরে অপহরণকারীরা ফোনে শিশুটিকে দিয়ে তার বাবা মতিউর রহমানের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকি দেয় তারা।
তিনি জানান, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর রাত ৩টার দিকে কলেজ রোড হাউজ বিল্ডিং এলাকার জিয়াউর রহমানের বাসার ছাদ থেকে কাথা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় শিশু মুসাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় দুই অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, অপহরণের পরপরই পুলিশের একটি টিম অপহরণকারীদের শনাক্তের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। শিশুটির বাবার কাছ থেকে একটি মোবাইল নম্বরে বিকাশে ৫ হাজার টাকা নেয় অপহরণকারীরা। ওই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি মোবাইল নম্বরে ৩০টাকা রিচার্জ করেন এক অপহরণকারী। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই রিচার্জ নম্বরের সূত্রে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। একপর্যায়ে রাত ৩টায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আসামিদের গাজীপুর মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) হাসিবুল আলম, সহকারী কমিশনার পিযুষ দে।