বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কীসের নৌকা, কীসের ছাতা’ বলে ভাইরাল আ.লীগ নেতা

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:৪২

আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আগে দলীয় প্রতীকহীন ইউপি নির্বাচনে দল হিসেবে আমরা সব সময় ছাতা প্রতীক নিতাম। আমাদের প্রতিপক্ষ নিতেন আনারস। তাই আমার ভোটারদের বোঝাতে বলেছি- যদি নৌকা বা ছাতা নাও পাই, আপনারা আমার কর্মী হিসেবে থাকবেন।’

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোট নিয়ে নৌকা প্রতীককে ‘ব্যঙ্গ’ করে ভাইরাল হয়েছেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড়শালঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আউয়াল।

সম্প্রতি এক নির্বাচনি সভায় তার ‘কীসের নৌকা, কীসের ছাতা। আসুক যেকোনো মার্কা; সমস্যা নাই’ বক্তব্যের ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, আব্দুল আউয়াল নৌকা প্রতীক পাবেন না টের পেয়ে বড়শালঘরে ব্যক্তিগত প্রচারণা সভায় রোববার রাতে নৌকা প্রতীককে ব্যঙ্গ করেন। তার বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ।

জানা যায়, আউয়াল ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন বড়শালঘর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি। ক্ষমতার পালবদল হলে আওয়ামী লীগে যোগ দেন তিনি। ২০১৯ সালে ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কর্মী বলেন, ‘নৌকা একটি দলের প্রতীক ও দলের পরিচয়, নৌকা বঙ্গবন্ধুর মার্কা। নৌকা একটি অনুভূতির নাম। আউয়াল দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যখন নৌকার অবমাননা করে তখন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।’

এ বিষয়ে বড়শালঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল আউয়াল বলেন, ‘আগে দলীয় প্রতীকহীন ইউপি নির্বাচনে দল হিসেবে আমরা সব সময় ছাতা প্রতীক নিতাম। আমাদের প্রতিপক্ষ (বর্তমান চেয়ারম্যান, জহিরুল ইসলাম জারু) নিতেন আনারস। তাই আমার ভোটারদের বোঝাতে বলেছি- যদি নৌকা বা ছাতা নাও পাই, আপনারা আমার কর্মী হিসেবে থাকবেন।’

ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি পদে থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের আগে বড়শালঘর ইউনিয়নে ১০ জন আওয়ামী লীগ করা লোক খুঁজে পাওয়া কষ্ট ছিল। এখন সবাই আওয়ামী লীগ। এখানে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের সাথে মিলে নির্বাচন করে।’

এ বিভাগের আরো খবর