মাদারীপুরের কালকিনিতে পূর্ব বিরোধের জেরে এক যুবকের পা কেটে নেয় প্রতিপক্ষ। সেই ঘটনায় মামলা করেছিলেন যুবকের ভাই। এবার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে বাদীর চাচার দুই পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি ভর্তি আছেন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল)।
পুলিশ বলছে, উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগরের কালাই সরদারের চর গ্রামে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হামলার ওই ঘটনা ঘটে বলে তারা জানতে পেরেছে।
আহত লিয়াকতের স্বজনরা জানায়, তাদের পরিবারের মিরাজ খানের বাম পা চলতি বছরের ২৯ জুলাই কেটে নেয়া হয়। এ ঘটনায় মিরাজ খানের ভাই কালাম খান কালকিনি থানায় স্থানীয় আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বের হলে, আসামি ধরতে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই গ্রামে অভিযান চালায় পুলিশ।
স্বজনদের অভিযোগ, কাউকে না পেয়ে পুলিশ চলে গেলে, লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় আসামিরা।
আহত লিয়াকতকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও আহত লিয়াকত খানের ভাতিজা কালাম খান বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পা কেটে নেয়ার ঘটনায় আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে কালকিনি থানায় মামলা করি। আদালত পরোয়ানা জারি করলে মঙ্গলবার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার চাচা লিয়াকত খানের দুই পা ভেঙে দিয়েছে আসামিরা।’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আপাং কাজী। তিনি বলেন, ‘পা ভাঙার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। কে বা কারা তার পায়ে আঘাত করেছে, সেটা আমার জানারও কথা না। তারা পূর্ব শত্রুতার কারণে আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা বলছে।’
কালকিনি থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) কাঞ্চন মিয়া বলেন, ‘ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে, তারা পালিয়ে যায়। শুনেছি পরে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’