ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গত ২৮ নভেম্বরের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
ভোট শেষের ১৬ দিন পর মঙ্গলবার সকালে হামেরদী ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুনসুরাবাদ গ্রামে ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় ভাঙচুর করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ অন্তত ৮টি বাড়িতে; আহত হয়েছেন নির্বাচিত মেম্বারসহ দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন।
ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, ওই ভোটে বাবর আলীকে হারিয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন আলম মোল্লা। এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ছিল দ্বন্দ্ব।
এর জেরে মঙ্গলবার সকালে মুনসুরাবাদ গ্রামের দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত শুকুর শেকের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়।
সাবেক মেম্বার বাবর আলীর অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বর্তমান মেম্বার আলম মেম্বার, জাহিদ মোল্লা, নাঈম মোল্লা, বাবলু মোল্লা, ছাইদুর মোল্লা তাদের কয়েকশ লোকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালান। বীর মুক্তিযোদ্ধা শুকুরের এক ছেলে পুলিশে ও আরেকজন সচিবালয়ে চাকরি করেন।
‘তারা কর্মস্থলে থাকায় বাড়িতে শিশু ও নারীরা ছিল। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী এগিয়ে গেলে তাদের বাড়িতেও তারা হামলা চালায়। একপর্যায়ে গ্রামের মধ্যে তিনটি স্পটে সংঘর্ষ বেধে যায়।’
তিনি অভিযোগ করেন, সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে লোকজন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলে ফাঁকা বাড়িঘরে লুটপাটও চলে। পরে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা ও থানা পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ সংঘর্ষে আহত হয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আলম মেম্বার। তার স্ত্রী আয়েশা জানান, ভোরে একদল লোক তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন আহত হন আলম।
আহত অন্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কয়েকজন ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র জানান, এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।