বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পথে যেসব দেশ বিরোধিতা করেছিল সেসব দেশেই বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীরা লুকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, এসব দেশ থেকে খুনিদের এসে বিচারে সরকার বদ্ধ পরিকর।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকের বিচার হয়েছে এবং অনেকে পলাতক আছে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সরকার কাজ করছে। আমাদের সূর্য সন্তানদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। শুধু ঢাকাতে না, সারা দেশে আমাদের বুদ্ধিজীবীদেরকে ধরে ধরে হত্যা করা হয়েছিল। প্রায় কয়েক হাজার বুদ্ধিজীবী সারাদেশে হত্যা করা হয়েছিল।’
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তান পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আছে। স্বাধীনতার ৫০ তম বর্ষে আমরা যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, দেশীয় শক্তি যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা একসঙ্গে মিলে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রবাহের সেটি প্রমাণ করে।’
বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের শাস্তির কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়ার ব্যাপারে আমাদের সরকার বদ্ধপরিকর। বিচার হয়েছে এবং অনেকে পলাতক আছে। তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সরকার কাজ করছে।
‘তবে যে আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল সেই সমস্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা লুকিয়ে আছে এবং বুদ্ধিজীবীদের খুনিরা লুকিয়ে আছে। সেখান থেকে আমরা এখন পর্যন্ত তাদের ফিরিয়ে আনতে কোনো কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাইনি।’
বুদ্ধিজীবীদের তালিকার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের তালিকা আছে। কাকে কোথায় হত্যা করা হয়েছিল, সেসকল বুদ্ধিজীবীদের তালিকা আছে।’