বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশ ফাঁড়িতে হামলাকারীদের ধরতে অভিযান

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ২০:২১

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

ফরিদপুরে বিতর্কিত বক্তা আবু ত্বহাকে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দিতে না দেয়ায় করিমপুর ফাঁড়িতে হামলাকারীদের ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এখনও মামলা হয়নি।

পুলিশ জানায়, প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরের জুট মিল মাঠে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই মাঠে মারকাযুত তাকওয়া ইসলামি মাদ্রাসা ও সরদার বাড়ি জামে মসজিদের উদ্যোগে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল ইসলামি বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাহফিল মঞ্চ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, প্রশাসনের আপত্তির কারণে আবু ত্বহা বক্তব্য দেবেন না। একপর্যায়ে ওয়াজ মাহফিল সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। এ ঘোষণায় শ্রোতাদের কিছু অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা পাশের ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে অর্ধ কিলোমিটার দূরে করিমপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ করেন। তারা ইটপাটকেল ছোড়েন এবং ফাঁড়িতে থাকা পুলিশের দুটি গাড়ি ও একটি অ্যাম্বুলেন্সের কাচ ভাঙচুর করেন।

পরে ফরিদপুর থেকে দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের গুলি ছুড়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।

করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ বলেন, পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও পুলিশ সদস্যদের আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ওই মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এলাকার রকিব আল হাসান সরদার নামের এক ব্যক্তি। ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সীমিত পরিসরে ঘরোয়াভাবে মাহফিল করার অনুমতি দিয়েছিল।

‘ওয়াজ চলাকালে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফোনে জানান, আবু ত্বহাকে মঞ্চে ওঠানো যাবে না। পরে মাহফিলে আগতদের এ কথা জানালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।’

রকিব আরও বলেন, ‘যারা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা এবং সড়ক অবরোধ করেছে তারা গুটিকয়েক উগ্রপন্থি। তাদের সঙ্গে মাহফিল আয়োজকদের কোনো সম্পর্ক নেই। পুলিশ ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা যাবে। এ ঘটনায় মামলার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা ঠিক হবে না।’

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ওয়াজ মাহফিল করতে হলে উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হয়। ত্বহাকে আনার ব্যাপারে কোনো অনুমতি প্রশাসন দেয়নি।

তিনি বলেন, ওই ওয়াজ মাহফিলের ব্যাপারেও কোনো অনুমতি ছিল না।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।

ওই ঘটনায় করিমপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওসি জলিল।

এ বিভাগের আরো খবর