বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশুর ‘হাত ভেঙে আটকে রাখেন’ মাদ্রাসাশিক্ষক

  •    
  • ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ১৮:৪৫

শিশুটি মাকে জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্লাসে পড়া না পারায় শিক্ষক মাওলানা আবু আক্কাস আলী তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। পরে ডাস্টার দিয়ে বাম হাতের কনুইয়ে জোরে আঘাত করেন। এর পর থেকেই সে ওই হাত নাড়াতে পারছে না। 

বরগুনার আমতলীতে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশুকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার ও চিকিৎসা ছাড়া চার দিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

আমতলীর দারুল আরকাম মডেল মাদ্রাসা থেকে সোমবার সকালে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার মা।

তিনি জানান, তার ছয় বছরের ছেলেকে মাদ্রাসার আবাসিক শাখায় ২২ দিন আগে রেখে আসেন। মাঝে মাঝে তিনি ছেলেকে দেখতে যান। সোমবার সকালেও ছেলেকে দেখতে মাদ্রাসায় যান তিনি। ছেলে তাকে দেখেই কাঁদতে শুরু করে ও জানায় যে ব্যথায় বাম হাত নাড়াতে পারছে না।

ব্যথার কারণ জানতে চাইলে শিশুটি মাকে জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্লাসে পড়া না পারায় শিক্ষক মাওলানা আবু আক্কাস আলী তাকে লাঠি দিয়ে পেটান। পরে ডাস্টার দিয়ে বাম হাতের কনুইয়ে জোরে আঘাত করেন। এর পর থেকেই সে ওই হাত নাড়াতে পারছে না।

শিশুটি আরও জানায়, বাড়ি যেতে চাইলে তাকে মাদ্রাসার একটি কক্ষে আটকে রাখেন আবু আক্কাস। ঘটনা শুনে শিশুর মা আক্কাসের কাছে মারধরের বিষয়টি জানতে চান। তখন আক্কাস তাকে বিষয়টি চেপে যেতে অনুরোধ করেন।

মা পরে ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ছেলেটির বাম হাতের কনুইয়ের জয়েন্ট সরে গেছে। এক্স-রে রিপোর্টে তা দেখা গেছে। হাতে ব্যান্ডেজ করে দেয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক আক্কাস বলেন, ‘পড়া না পারায় সামান্য দু-একটি চড়থাপ্পড় দিয়েছি। ডাস্টার দিয়ে হাত ভাঙি নাই।’

মারধরের পর আটকে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রণজিৎ সরকার বলেন, ‘হাত ভাঙা বাচ্চাসহ একজন নারী থানায় এসেছিলেন। মৌখিকভাবে তিনি মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে তার ছেলের হাত পিটিয়ে ভাঙার বিষয়ে জানিয়েছেন। তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর