কোনো বাংলাদেশি আইসিডিডিআরবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের দায়িত্ব পেলে তিনি আন্তর্জাতিক কান্ট্রি ডিরেক্টরের সব সুবিধা পাবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ আইন-২০২১-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ খসড়া অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ কান্ট্রি ডিরেক্টর হলে তিনি আন্তর্জাতিক কান্ট্রি ডিরেক্টর হলে যে সুবিধা পান সে রকম সুবিধা পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আজকে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৯৭৮ সাল থেকে একটা অধ্যাদেশের অধীনে সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছিল। পরে ১৯৮৫ সালের আরেকটি সংশোধনী আনা হয়েছিল। অধ্যাদেশগুলো আইনে পরিণত করার নির্দেশনা অনুযায়ী আইন আকারে নিয়ে আসা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কাজ করার জন্য কেন্দ্রে আইসিডিডিআরবির একটা বোর্ড থাকবে। কমপক্ষে ১২ জন এবং অনধিক ১৭ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হবে।
‘এই বোর্ড জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিধিবিধান সাপেক্ষে জৈব ও বায়োলজিক্যাল ম্যাটেরিয়াল এবং গবেষণাসংক্রান্ত ফার্মাসিউটিক্যাল দেশের বাইরে আমদানি ও দেশের বাইরে হস্তান্তর করতে পারবে। তবে কেন্দ্র থেকে কোনো রপ্তানি নিষিদ্ধ পণ্য বা গবেষণালব্ধ বা পরীক্ষার জন্য বিদেশে পাঠাতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগবে।’