বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ওয়ানগালা’ উৎসব মুগ্ধতা ছড়িয়েছে দুর্গাপুরে

  •    
  • ১২ ডিসেম্বর, ২০২১ ২২:১২

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। গারো, হাজং, কোচ, বানাই, চাকমা, মারমাসহ সব নৃ-গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যগুলোকে আমরা সংরক্ষণ এবং চর্চার মধ্যে রাখতে চাই।’

ধর্মীয় আচার, গান, নৃত্য, মেলা ও আলোচনাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার পাহাড়ি জনপদ দুর্গাপুরে দুদিনব্যাপী ‘ওয়ানগালা উৎসব’ শেষ হয়েছে।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় স্থানীয় বিরিশিরি ক্ষুদ্র ও নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজন করে থাকে।

একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং জানান, ‘ওয়ানগালা’ গারো সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে বসবাসরত গারো সম্প্রদায় প্রতিবছর তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হিসেবে ‘ওয়ানগালা’ উদযাপন করেছে। এটি মূলত তাদের কৃষিভিত্তিক উৎসব।

গারো বা মান্দি ভাষায় ‘ওয়ানা’ শব্দের অর্থ ‘নৈবেদ্য’ আর ‘গালা’ শব্দের অর্থ ‘কোনো কিছু উৎসর্গ করা’।

শনিবার সকাল ১০টায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়ানগালা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এরপর একাডেমির মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ানগালার ধর্মীয় আচার ‘চু-রুগালা’ পর্ব।

গারোদের একজন পুরোহিত আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রপাঠ, শস্য উসর্গ এবং মোরগ জবাই করে পর্বটি শেষ করেন। এ সময় ওই মাঠেই অনুষ্ঠিত হয় গারো নারীদের নৃত্যসহযোগে গান। তাদের নাচ-গানে মুগ্ধ হন দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

চু-রুগালা পর্বের পর একাডেমির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু ছাড়াও বক্তৃতা দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদারসহ আরও অনেকে।

স্বাগত বক্তব্য দেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকার সুজন হাজং।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। তার নির্দেশে আমরা বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি। ইতিমধ্যে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চিহ্নিত করে তাদের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। গারো, হাজং, কোচ, বানাই, চাকমা, মারমাসহ সকল নৃ-গোষ্ঠীর অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যগুলোকে আমরা সংরক্ষণ এবং চর্চার মধ্যে রাখতে চাই।’

রোববার উৎসবের শেষ দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা, গারোদের ঐতিহ্যবাহী গান ও নৃত্যানুষ্ঠান।

এ বিভাগের আরো খবর