আবারও শীর্ষ করদাতার পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশ।
২০২০-২১ অর্থবছরে শীর্ষ করদাতা হিসেবে বিএটি বাংলাদেশকে সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিট। সর্বোচ্চ কর প্রদানে অবদান রাখায় প্রতিষ্ঠানটিকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
রোববার রাজধানীর ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেয়া হয় বলে বিএটি বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) মূসক (মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট) কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী শীর্ষ করদাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম ও হেড অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স শেখ শাবাব আহমেদ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে বিএটি বাংলাদেশ মূসক ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে। অভ্যন্তরীণ রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস হলো মূসক।
এনবিআর গত অর্থবছরে ভ্যাট বাবদ মোট ৯৭ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে। যার মধ্যে এলটিইউ একাই প্রায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা আদায় করেছে; যা মোট ভ্যাটের প্রায় ৫০ শতাংশ।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের মোট ভ্যাটের অর্ধেকেরও বেশি অবদান রেখেছে বিএটি বাংলাদেশ।
এ ছাড়া কোম্পানিটি প্রায় ৯০০ কোটি টাকা আয়করও দিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি অভ্যন্তরীণ রাজস্বের প্রায় ১০ শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে, যা জাতীয় পর্যায়ে যেকোনো কোম্পানির চেয়ে বেশি।
শীর্ষ করদাতার স্বীকৃতি পাওয়া প্রসঙ্গে বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম বলেন, ‘এলটিইউ-ভ্যাট গত দুই বছরে ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। করদাতা কোম্পানিগুলো এবং এলটিইউর মধ্যে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যা দেশের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ।’
‘বর্তমান কমিশনারের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি করদাতাদের সমাধানদাতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। করদাতা এবং কর আদায়কারীদের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্কই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যার প্রয়াস আমরা দেখতে পাচ্ছি।’