রংপুরে ভাতিজা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চাচা আসাদুল ইসলামকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।
আসামি আপিল গ্রহণ এবং ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে রোববার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন লস্কর, আনোয়ার হোসেন ও আফরোজা খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনর রশিদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো।
রায়ের বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন লস্কর। তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে চাচার সম্পৃক্ততার কোনো মিল নেই। এই বিবেচনায় আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার গঙ্গানারায়ণ এলাকার আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে রিনা বেগমের বিয়ে হয়। রিনা বেগম আনোয়ার হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তাদের রেজওয়ানুল ইসলাম নামে ছয় বছরের একটি পুত্রসন্তান ছিল।
২০০৭ সালের ১৫ মে রেজওয়ানুলকে তার সৎ দাদি নছিরন নেছা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রেজওয়ানের মা তার ছেলেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মাইকিং করে। পরদিন একটি পুকুরপাড়ে বালুর নিচে চাপা দেওয়া রেজওয়ানুলের লাশ পাওয়া যায়।
রিনা বেগম পুত্র হত্যার ঘটনায় স্বামী আনোয়ার হোসেনের সৎভাই আসাদুল ইসলাম ও মা নছিরন বেগমকে আসামি করে পীরগাছা থানায় একটি মামলা করেন।
বিচার শেষে আদালত ২০১৬ সালের ৪ মে আসাদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।
এরপর আসামির ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের নথি) হাইকোর্টে আসে। আর আসামি আপিল ও জেল আপিল করেন। আপিল দুটির একসঙ্গে শুনানি করে আদালত আসামিকে খালাস দেয়।