ব্রডব্যান্ডের মতো মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের দামও নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিগগিরই এই রেট বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল ইন্টারনেটের জন্য কোনো রেট ফিক্সড করা নেই। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের প্রচুর অভিযোগ আছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব সিরিয়াস, কাজ চলছে এবং আশা করি, খুব শিগগির এ ক্ষেত্রে আমরা একটি দর নির্ধারণ করে দিতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করি, তখন গতির ওপরে চার্জ দিই। কিন্তু মোবাইলে আমি ডেটা কিনি। বিষয়টি সিরিয়াস। আবার ইন্টারনেট যতটুকু কেনা হয় তার মেয়াদ থাকে। ডাটা পিরিয়ড চলে গেলে আমি সেটা আর ব্যবহার করতে পারি না।’
মন্ত্রী জানান, অব্যবহৃত ডাটা যেন পরেও ব্যবহার করা যায়, এমন নির্দেশনা ইতিমধ্যেই মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয়েছে। বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ সময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘আমরা ব্রডব্যান্ডে এক দেশ এক রেট যেটা দিয়েছি, মোবাইল ব্রডব্যান্ডের জন্যও একই রকম একটি ট্যারিফ নির্ধারণের কাজ করছি। ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের রেট ঠিক করার জন্য আমাদের যারা স্টেক হোল্ডার আছেন তাদের সঙ্গে ৪৭টি বৈঠক আমাদের করতে হয়েছে। এর কারণ হলো- তাদের থেকেই আমরা তথ্য নিয়েছি, তাদের হিসাব-নিকাশ দিয়েই আমরা এটি করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একইভাবে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গেও আমাদের বৈঠক চলছে। আমরা খুব শিগগির মোবাইল ব্যান্ডউইথের জন্য ট্যারিফ নির্ধারণ করে দিতে পারব। তখন এ সমস্যা থাকবে না।’
গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ‘এক রেটে’ সেবামূল্য চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গত ১২ আগস্ট বিটিআরসিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইন্টারনেটের নতুন এই ট্যারিফ ঘোষণা করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
নতুন দাম হিসেবে খুচরায় ৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস ১ হাজার ২০০ টাকায় পাচ্ছেন গ্রাহকরা।